ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন আজ

85

চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচন আজ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। এদিন একই সাথে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।
উপনির্বাচনকে ঘিরে ইতিপূর্বে প্রশাসন সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করার পর গতকাল বুধবার বিকালে স্ব-স্ব ইউনিয়নের প্রিজাইডিং অফিসারদের নিকট নির্বাচনী সরঞ্জাম সরবরাহ করে উপজেলা নির্বাচন অফিস। উপনির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম হস্তান্তর করেন।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে আটজন ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় মূলত একজন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও সাতজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্বে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল আলম চৌধুরীকে বিএনপি সমর্থন দেওয়ায় শেষ মুহূর্তে নির্বাচনের হিসেব নিকেষ এখন পাল্টে গেছে। ফলে এখন ত্রিমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন বলে জানিয়েছেন ভোটাররা।
ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত একক প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী (নৌকা), কক্সবাজার জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রবীণ সাংবাদিক মাইন উদ্দিন মোহাম্মদ শাহেদ (আনারস), ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ফরিদুল আলম চৌধুরী (মোটরসাইকেল), ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান লিটন (ঘোড়া), উপজেলা যুবলীগের নেতা রিদুয়ানুল হক মজিদি (চশমা), ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি হাসনাত মোহাম্মদ ইউছুফ (রজনীগন্ধা), সাবেক ইউপি সদস্য রফিক আহমদ (টেলিফোন) ও ইখতিয়ার উদ্দিন (অটোরিকশা)।
অপরদিকে কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীরা হলেন, নুরুল ইসলাম (মোরগ), মো. সাইফুল ইসলাম (ফুটবল), নাছির উদ্দিন (তালা) ও মো. মনছুর আলম (টিউবওয়েল)।
ফাঁসিয়াখালী ও কৈয়ারবিল ইউপি উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আজ অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন পুলিশ ও ১৭জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া থাকবে পুলিশের তিনটি ভ্রাম্যমাণ দল। নয়টি কেন্দ্রের ৩২টি বুথে ১৫ হাজার ১০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।