ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি আ. লীগ নেতা ‘বশির’ গ্রেপ্তার

38

নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ বছর আগে সাতকানিয়ায় সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে প্রকাশ্যে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করা হয়েছিল। ওই মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা বশির আহাম্মদ (৫৬)। সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এ সহ সভাপতি ১৩ মাস আগে আমজাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই প্রায় সময়ই এলাকায় থাকতেন। নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে বেড়াতেন প্রকাশ্যে ও গোপনে। থানা পুলিশ সব সময় বলে আসছিল বশিরকে ধরার জন্য অভিযান চলমান থাকার কথা। কিন্তু পুলিশের হাতে বশির গত ১৩ মাস ধরা পড়েননি। শেষতক ধরল র‌্যাব। গত শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রূপকানিয়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, ‘আমজাদ চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় গত বছরের ১৩ অক্টোবর আদালত বশিরসহ ১০ জনের মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। বশির পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। রায় ঘোষণার ১৩ মাসের মাথায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রসঙ্গত : ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর রাত ১২টায় সাতকানিয়া থানার মির্জাখীল বাংলাবাজার এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে কথা বলার সময় আওয়ামী লীগ নেতা ও সোনাকানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী সৈয়দা রওশন আক্তার বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এদের মধ্যে একজন আসামি বিচার চলাকালে মারা যান। ২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২১ বছর পর ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর ১০ জনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত। দন্ডিত ১০ জনের মধ্যে বশির আহাম্মদ ছাড়া বাকি সবাই কারাগারে আছেন। গ্রেপ্তারের পর বশির আহাম্মদকে সাতকানিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাতকানিয়া ও বান্দরবানের লামা থানায় আরও মামলা আছে।