ফরাসি শ্যাম্পেইন ও পনিরে শুল্কের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

15

মার্কিন অনলাইন কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় কর আরোপের প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্সের ২৪০ কোটি ডলারের রপ্তানি পণ্যে শুল্ক বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। জুলাইয়ে অনুমোদিত ফ্রান্সের ওই নতুন কর মার্কিন টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘অন্যায্য’ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিষয়ক শীর্ষ প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার দাবি করেছেন।
ফ্রান্সের মতো অন্য কোনো দেশ যেন এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তা ঠেকাতেই যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য এ শুল্কের কথা ভাবছে, বলেছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের ফলে পনির, শ্যাম্পিইন জাতীয় মদ, প্রসাধনী ও হাতব্যাগের মতো ফরাসী রপ্তানি পণ্যের শুল্ক ১০০ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত হতে পারে, লাইটহাইজারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। “মার্কিন কোম্পানিগুলোর ওপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়া কিংবা তাদেরকে বৈষম্যের শিকার করে ডিজিটাল করের এমন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ একটি স্পষ্ট বার্তা,” বলেছেন তিনি। ফ্রান্সের কর নিয়ে মার্কিন বাণিজ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তদন্ত শেষে দেশটির রপ্তানি পণ্যে সম্ভাব্য শুল্ক আরোপের প্রস্তাবটি এখন জনগণের মতামতের জন্য ছাড়া হবে, ঘোষণায় বলেছেন লাইটহাইজার।
মার্কিন এ কর্মকর্তা জানান, ফ্রান্সের ওই আইনটিতে কোম্পানিগুলোর লাভের ওপর নয়, তাদের লেনদেনের ওপর কর বসানো হয়েছে, যা কর সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নিয়মনীতির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ‘অযাচিত বোঝা’ চাপিয়ে দিয়েছে। অস্ট্রিয়া, ইতালি ও তুরস্ক কাছাকাছি ধরনের যে আইনগুলো করেছে যুক্তরাষ্ট সেগুলোও তদন্তের কথা ভাবছে, জানান তিনি।
“ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাড়তে থাকা সংরক্ষণবাদ চর্চার মোকাবিলায় নজর দিয়েছে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়। হয় ডিজিটাল সিকিউরিটি সার্ভিসে কর বসিয়ে, নয়তো অন্য কোনো উপায়ে মার্কিন অনলাইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে ইইউ দেশগুলোর এ চর্চা অন্যায্যভাবে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে,” বলেছেন তিনি।