ফটিকছড়ির মিষ্টি আলু যাচ্ছে সারাদেশে

24

মো. এমরান হোসেন, ফটিকছড়ি

ফটিকছড়িতে এবার মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উপজেলার নাজিরহাট হালদা চরে চাষকৃত মিষ্টি আলু যাচ্ছে সারাদেশে। প্রতিদিন হালদার চর থেকে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন এ আলু। চলতি মৌসুমে মিষ্টি আলুর (লাল আলু) ভালো ফলনে খুশি এখানকার কৃষকরা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার হালদা ও ধুরুং নদীর চরে মিষ্টি আলু চাষ করেন কৃষকরা। স্থানীয় জাতের পাশাপাশি কমলা সুন্দরী, তৃপ্তি, বারি মিষ্টি আলু চাষ করেন তারা। এর মধ্যে তৃপ্তি ও কমলা সুন্দরী জাত উচ্চ ফলনশীল।
কৃষকরা জানান, বর্তমানে মিষ্টি আলুর বাজার অনেকটাই কমে গেছে। এ মাসের বাজার দর ঠিক থাকলে লাভ না হলেও লোকসান হবে না। গত বছরের মতো এ বছরও অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি মিষ্টি (লাল) আলু চাষ করেন রশিদা পুকুর পাড় এলাকার কৃষক মো. হাসেম ও মো. ইলিয়াস। তারা জানান, হালদার চরে চাষকৃত এ আলু নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানীয় হাট-বাজারে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করেন তারা। এছাড়া কৃষক মো. বশর, মো. হোসেন, মো. শাহাজাহান জানান, এ বছর মিষ্টি আলুর দাম প্রথমে ভাল ছিল। তবে এখন পাইকারি প্রতি কেজি ১৮ কিংবা ২০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন তারা। ফলন ভাল হওয়ায় তারা অনেক খুশি। আলু ক্রয় করতে আসা ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, প্রতি কেজি ১৮ টাকায় ক্রয় করে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রেরণ করছি। এখান থেকে মিষ্টি আলু কক্সবাজারের চকরিয়া, রোহিঙ্গা ক্যাম্প, নোয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রাক করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রতিদিন।
জানা গেছে, রবি মৌসুমে মিষ্টি আলু চাষ লাভজনক। এ আলু চীন, পাপুয়া নিউগিনি এবং আফ্রিকার কয়েকটি দেশের মানুষের প্রধান খাদ্য। তাছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশেও এটি প্রিয় খাবার।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এ বছর বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। মিষ্টি আলু চাষে এ অঞ্চলের কৃষক লাভবান হচ্ছে। এ বছর উপজেলাতে প্রায় ৪১০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি (লাল) আলু চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় জাতের পাশাপাশি কমলা সুন্দরী, তৃপ্তি, বারি মিষ্টি আলু।