ফটিকছড়ির নাইস্যার ঘাটে সেতুর স্বপ্নে এলাকাবাসী

128

ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌর এলাকাধীন সুয়াবিল ও সুন্দরপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী হালদা দ: নদীর নাইস্যার ঘাট। ওই ঘাট এলাকায় সেতু নির্মাণ হবে এমন স্বপ্ন বহু দিনের দু’পাড়ের হাজারো এলাকাবাসীর। আর সেই স্বপ্নকে এখনো লালন করে যাচ্ছে এখানকার স্থানীয়রা। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এই অবহেলিত এলাকায় আদৌ সেতু নির্মান না হওয়ায় উক্ত ঘাটের উপর বাঁেশর সাকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারপার করতে হচ্ছে জনসাধারনকে। যদিও সরকার এক সময় উক্ত ঘাটটি ইজরা দিত। তা এখন বন্ধ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তির সহায়াতার ফলে নির্মিত হয় কাঠের তৈরি প্রায় দু’শত ফুট লম্বা এই বাঁশের সাঁকোটি। সাঁকোটি দিয়ে এপার হতে ওপারে যেতে প্রতিজন থেকে ৫টাকা করে নেয় সাঁকোর মালিক। শীত ও গ্রীষ্মকালে পারাপারা কিছুটা সুবিধা হলেও বর্ষা মৌসুমে শৃঙ্গের উৎপত্তি হয়ে বেয়ে আসা হালদার পানির স্রোতের কবলে ভেঙ্গে ভেসে যায় বাশেঁর সাকোটি। তখন আরো চরম দূর্ভোগে পোহাতে এলাকাবাসীকে। পথচারী ধুরুং কে এম টেক এলাকার বাসিন্ধা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মো. আব্বাছ বলেন, বহু কষ্টের মাঝে কলেজে যেতে হয় সেতুটি দিয়ে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা । স্থানীয় বাসিন্দা মুসলিম বিবাহ’র কাজী সৈয়দ নিজাম উদ্দীন বলেন, শুভ কাজের দিন যাতায়াত করতে মানুষকে দীর্ঘক্ষন লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী এম সিরাজদৌল্লাহ চৌধুরী দুলাল বলেন, সেতু নির্মান না হওয়ায় শ্রমিক দিয়ে সাবধান এর সাথে মালামাল পারাপার করতে হয়। সুন্দরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ বলেন, সেতুটি নির্মান না হওয়ায় এলাকার ব্যবসায়-বাণিজ্য, কৃষি সেক্টর উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছেয়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে ফটিকছড়ির এমপি ও বাংলাদেশ ত্বরিকত ফেডারেশন’র চেয়ারম্যান আলহাজ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী’র মাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা ।