ফটিকছড়ির জাফতনগরে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ৭

5

নাজিরহাট প্রতিনিধি

ফটিকছড়ির জাফতনগর ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংশতায় ৭জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদ তকিরহাটে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আহতরা হলেন- মুহাম্মদ আফাজ (২০), মুহাম্মদ ফরহাদ (২৫), মুহাম্মদ ফাহীম (২৪), নুর উদ্দিন (৩০), মুহাম্মদ নাছির (৩২), অজ্ঞাত পথচারী ও মুহাম্মদ সরোয়ার (৩৭)। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর, তাদের নগরীর চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। জানা গেছে, সন্ধ্যায় তকিরহাট বাজারে ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ জিয়া উদ্দিন জিয়ার একটি মিছিলের উপর কিছু দুস্কৃতিকারীরা লাঠি-সোঠা, হকিস্টিক নিয়ে হামলা চালিয়ে বাজারের দক্ষিণ পাশে নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। ঘটনায় কয়েকটি মোটরসাইকেল ও একটি সিএনজি টেক্সি ভাংচুর করা হয়েছে। এতে উপরোক্ত ব্যক্তিদ্বয় আহত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। প্রার্থী জিয়া উদ্দিন জিয়া জানান- নৌকার প্রার্থী আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে একদল সস্বস্ত্র যুবক প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বাজারের শত শত মানুষ তা দেখেছে। এখন তারা এই নেক্কার জনক ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নিজেরা নিজেদের অফিস ভাংচুর করে নানান টালবাহানা করছে। তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিম জানান, আমি ঘটনার কথা শুনে বাজারে গিয়েছি। আনারসের সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র সহকারে নৌকার অফিস ভাংচুর করেছে। এতে তাদের এলোমেলো হামলায় নিজেদের লোকজন আহত হয়েছে। পরে, আনারস সমর্থকরা নিজেদের অফিস ভাংচুর করে নানান কাহীনি করছে। আমি এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছি। এ বিষয়ে ফটিকছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। এতে উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনী অফিস ভাংচুরসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এখনো কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি বলে তিনি জানান।