ফটিকছড়িতে সড়কের পাশে শিমের আবাদ

19

মো. এমরান হোসেন. ফটিকছড়ি

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় যাতে দেশের মানুষ কষ্ট না পায়, সেজন্য কোথাও এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে। সব জায়গা চাষ উপযোগী করে তুলতে হবে বলে যে আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই আহবানে সাড়া দিয়ে ফটিকছড়ির কৃষকরা এবার বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে যেকোন খালি জায়গা এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’ধারে চাষ করেছে বিভিন্ন জাতের সবজি। তৎমধ্যে শিম অন্যতম। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় স্থানীয়রা এ সবজি চাষ করে যেমন নিজেরা খেতে পারছেন, তেমনি বাজারে বিক্রি করে আয়ও করছেন।
মহাসড়কের পাশের সবজি চাষি দৌলতপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা কখনো ভাবতেও পারিনি যে মহাসড়কের পাশে সবজি চাষ করে নিজেদের পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব। কিন্তু কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তা সম্ভব হয়েছে।’
উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মওলা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নিদের্শনামতে আমরা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করায় এলাকায় শিম চাষের আবাদ বেড়েছে।’
ডা. জয়নাল মুহুরী বলেন, ‘শিমে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। কিন্তু এতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, জিংক ও মিনারেল। এগুলো শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। শিমে পাচক আঁশ (ডায়েটরি ফাইবার) থাকায়, কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত রোগীদের জন্য উপকারী। এ ছাড়া কোলন ক্যানসার প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।’
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এ বছর পোকামাকড়ের আক্রমণ না হওয়ায় শিমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এতে খুশি কৃষকরা। উপজেলায় এ বছর ২৯০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে তৃণমূল মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছি বলেই আজ এবার বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে যেকোন খালি জায়গা ফটিকছড়ির কৃষকরা চাষ করেছেন।’