ফটিকছড়িতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণিরা

219

ফটিকছড়িতে চলতি মৌসুমে আমান ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সোনালী ফলন দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ঝিলিক। সর্বত্রই সোনালী নতুন ধানের মৌ মৌ সুগন্ধ বয়েছে। গ্রামে-গঞ্জে নতুন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ চলছে। ধান মাড়াইয়ের পর শুকানোর জন্য আগে থেকে অধিকাংশ বাড়ির উঠান মাটির কাদার প্রলেপ দিয়েছিল কৃষাণ-কৃষাণিরা। ধান শুকানোর পর গোলায় তোলা হবে। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার হারুয়ালছড়ি ইউপির পাটিয়ালছড়ি বিল, বড়ুয়া পাড়া বিল, ধোপারখীল বিল, সুজানগর বিল, চিনাটিলা দক্ষিণ বিল, কালাজ্যা বিল, ভেরণ্যাপাড়া বিল, দরব পাড়া বিল, মহানগর বিল, পূবের বিল, ফকিরপাড়া বিল, রক্তছড়ি বিল, সিকদার বিলে সোনালি ধান আর ধানে যেন বিলগুলো পরিপূর্ণ হয়ে আছে। সেখানে ধান কাটা, কাটা ধান ক্ষেত থেকে কৃষকের উঠানে নিয়ে আসা, ধান মাড়াইয়ের কাজ পুরাদমে চলছে। এছাড়া উপজেলার কাঞ্চানগর চমুরহাট বিল, ভূজপুর, সুয়াবিল, ধর্মপুর, রোসাংগিরীর আজিমনগরবিলসহ অন্যানো বিলগুলোতে ভরা সোনালী ধান আর ধান। একাধিক এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে। আবার অনেক বিলে কৃষক নিজে বা কামলা দিয়ে ধান কাটতে দেখা যায়। কৃষকরা জনান, আমান ধানের বাম্পার ফলন দেখে মন ভর গেছে। ফটিকছড়ি কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আমান ধানের লক্ষ্য মাত্র ধার্য ছিল ২১ হাজার ৫শ ৫০ হেক্টর। যা অর্জিত হয়েছিল ২১হাজার ৯শ হেক্টর। চলতি বছরে ২২ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে আমান ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়। সেখানে চাষাবাদ হয়েছে ২১হাজার ৮শ ৫০ হেক্টর। গত বছর প্রতি হেক্টরে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৯হাজার ১৭ মেট্রিক টন। আর অর্জিত হয়েছিল ৬১হাজার ৩শ ৫০ মেট্রিন টন। এবারে লক্ষ্য মাত্র ছিল ৬৩ হাজার ২শ ৮০ মেট্রিক টন। তবে এর চেয়েও দ্বিগুণ চাল হবে বলে জানিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লিটন দেব নাথ বলেন, চলতি মৌসুমে আমান ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা উফশী জাতের আমান বিআর -১০,১১,২২,২৫, ব্রি ধান-৩০, ৩১, ৩২, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪৯, এবং পাজাম, স্বর্না, অন্যান্য (দিনাজপুরী, বেনম্বার), চাক্কল, গিউস, বিন্নী, কালিজিরা, বালাম এর চাষ করেছিল। বিভিন্ন প্রকল্প হতে ২শত জন কৃষককে উপজেলা কৃষি অফিস হতে বিনা মূল্যে সার ও উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ বিতরণ করা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় ও কৃষি বিভাগের সার্বিক নজরদারি ও পরামর্শের কারণে রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ অত্যন্ত কম ছিল। এবার কৃষকগণ পূর্বের তুলনায় ব্যাপক লাভবান হবে এমনটি আশা ব্যক্ত করেন তিনি।