ফটিকছড়িতে বাইন্যাছোলা-মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু

71

ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগরে বাইন্যাছোলা-মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করা হয়। এর আগে গত ২৮ অক্টোবর বিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান। স্থানীয় এলাকাবাসী ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সকালে জাতীয় সঙ্গীত পরিবশেন ও পায়রা উড়িয়ে কার্যক্রমের শুরু করা হয়। সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুইমারা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ.কে.এম সাজেদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লক্ষীছড়ি জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মো. মিজানুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম তৌহিদুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুশফিকুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফেরদৌস হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আখতার, কাঞ্চননগর ইউপি চেয়ারম্যান রশিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। পরে অতিথিবর্গ বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এমন একটি মহত উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে নিতে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করা হবে।
শান্তি সস্প্রীতি বজায় রেখে সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি। স্থানীয়রা বলেন, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সীমান্তবর্তী বাইন্যাছোলা, ডিপি পাড়া, সমুড় পাড়া, সাঁওতাল পাড়া, মহিষকাটা, দন্ডি পাড়া, হলুধ্যা পাড়া, মানিকপুর, টিলাপাড়া, সাতগড়িয়া পাড়া, নাপিতপাড়া, ফেদুরপাড়া ও বানতি পাড়াসহ এলাকায় অন্তত ১৫টি গ্রামের ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এতদিন এখানে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় ১০ কিমি দুরে গিয়ে ছেলে মেয়েরা অনেক কষ্ট করে লেখা পড়া করতে হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ শাহীন বলেন, যুগ যুগ ধরে এখানে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা দাবি করে আসছিলাম। এটা আমাদের জন্য একটা স্বপ্ন ছিল যা আজকে বাস্তবায়ন হলো। এলাকার পক্ষ হতে জোন কমান্ডার, রিািজয়ন কমান্ডার ও চট্টগ্রামের জিওসিকে ধন্যবাদ জানাই। পরে অতিথিবর্গ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় বৃক্ষরোপন, বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ৩শ ৮৭ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ এবং ৮ জন সহকারি শিক্ষক ও একজন প্রধান শিক্ষকের সমন্বয়ে বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেন।