ফটিকছড়িতে নিখোঁজ ব্যাংক কর্মীর লাশ উদ্ধার

37

ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুরে নিখোঁজের দুইদিন পর খাল থেকে একটি বেসরকারি ব্যাংকের পিয়ন মরণ মল্লিক ওরফে দুলাল (৫০) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে ভূজপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার ঈদুল আযহার দিন সকালে পার্শ্ববর্তী উপজেলা হাটহাজারীর পশ্চিম ফরহাবাদের নিজ বাড়ি থেকে বাগানে যাবে বলে বের হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি আর ঘরে ফেরেন নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে পরদিন থেকে পরিবারের পক্ষে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে নিহতের ছেলে অপু দাশ হাটহাজারী থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
গতকাল বুধবার সকালে ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের মন্দাকিনী গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মন্দাকিনী খালে মাছ ধরার সময় লোকজন এক এক ব্যক্তির ভাসমান লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে ভূজপুর থানা পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। পরে মরণ মল্লিকের পরিবারের সদস্যরা লাশটি শনাক্ত করেন। মরণ মল্লিক হাটাহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মালি পাড়ার মৃত কিশোর দাশের ছেলে। দীর্ঘদিন থেকে তিনি নাজিরহাটের একটি ব্যাংকে পিয়ন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহতের ছেলে অপু দাশ জানান, ‘বাবা একটি বেসরকারি ব্যাংকের পিয়ন ছিলেন। ঈদের দিন ছুটিতে থাকায় তিনি দুই প্রতিবেশী নিয়ে পার্শ্ববর্তী ফটিকছড়ি উপজেলার উদালিয়া চা-বাগানে যায়। পরে প্রতিবেশীরা বাড়িতে ফিরলেও বাবা ফিরেনি। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন- তিনি খালে পড়ে গেলে তারা উদ্ধারের চেষ্টা করে না পেরে ফিরে আসে। তখন থেকে মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। বাবার একটা বদভ্যাস ছিল তিনি প্রায়শই নেশা করতেন।’
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যার পর লাশ খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে কিংবা অতিরিক্ত মদ পান করে তিনি খালে ভেসে গেছেন। লাশে পচন ধরেছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাটিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদনের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’