ফটিকছড়িতে তিনদিনে পৃথক অগ্নিকান্ডে ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

10

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি

ফটিকছড়িতে হঠাৎ অগ্নিকান্ডের ঘটনা বেড়ে গেছে। গত তিনদিনে উপজেলার তিন ইউনিয়ন নারায়ণহাট, সুয়াবিল ও খিরাম ইউনিয়নে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো অনেকটাই নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের দাবি শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে।
নারায়ণহাট ইউপির চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদ বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে অগ্নিকান্ডে আমার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চানপুর গ্রামের মো. রমজান, মো. শাহাজান, মো. হানিফের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আনুমানিক ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
সুয়াবিল ইউপির চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সুভনছড়ি এলাকার রাজার বাজারের পশ্চিমপাশে গত শুক্রবার বিকেলে আগুনে মো. আনিছের সেমিপাকা ঘর পুড়ে যায়। এতে জমি বিক্রির নগদ ১৫ লাখ টাকাসহ ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।
খিরাম ইউপির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সৌরভ বলেন, গত ৯ মার্চ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খিরাম প্রেরমপুর এলাকায় আগুনে কৃষক গুণ্য মিয়ার একটি ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। এতে তিনি নিঃস্ব হয়ে পড়েন। তাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের অফিসার ডলার ত্রিপুরা বলেন, গত কয়েক দিনে কয়েকটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমরা খবর পেয়ে দু’টি ঘটনায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে বলে তিনি জানান।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাব্বির রহমান সানি বলেন, শুষ্ক মৌসুমে সাবধানতার কোনো বিকল্প নেই। যে সব অগ্নিকান্ড ঘটে গেছে এসব বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানদেরকে বলেছি, ইউনিয়ন পরিষদের থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা পরিষদে প্রেরণ করে। সেখান থেকে ত্রাণ কিংবা অনুদান পেলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দিব। চেয়ারম্যানরা আবেদন করলে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।