ফটিকছড়িতে তরুণ খুন

31

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ফটিকছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. নুরুল হক ওরফে সাইমন (১৮) নামে এক তরুণ নিহত হন। এতে আরও ২ বন্ধু আহত হন। গত শুক্রবার দুপুরে নানুপুর ইউনিয়নের আবু সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
সাইমনের বাবার নাম নুরুল আবছার। তার বাড়ি উপজেলার বক্তপুর ইউনিয়নের ঢালকাটা গ্রামে। তিনি নানুপুর লায়লা-কবির ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় তরুণদের ‘সিনিয়র-জুনিয়র’ দ্ব›েদ্বর পরে সে বিষয়ে দুই পক্ষ সমঝোতা করতে আসে ওই বিদ্যালয়ের পাশে। এ সময় তারা ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রæপ খুলে চ্যাট করছিলেন একে অপরের সাথে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় বন্ধু নুরুল হক সাইমন। বিষয়টি নিয়ে বিরোধ বাধে। স্ট্যাটাস দেখে মুহুর্তেই অপর বন্ধু মো. মাহফুজুল আলম এসে সবাইকে মারধর এবং চুরিকাঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে বাধা দিলে আরও দুই বন্ধু মো. শাহজাহান (১৮) ও মো. মুনসুরকে (১৮) গুরুতর আহত করে সে।
স্থানীয় লোকজন তাদের তিনজকে উদ্ধার করে প্রথমে নাজিরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। এরপর তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে সাইমনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফটিকছড়ি থানার পুলিশ। তারা ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে বন্ধু মাহফুজুল আলমকে (১৮) গ্রেপ্তার করে।
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক (ইএমও) ডা. সুরাইয়া পারভিন বলেন, ছুরিকাঘাতে সাইমনের পেটের নাড়ি-ভুঁড়ি বের করে হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার সাথে সাথে তাদের তিনজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেকে পাঠানো হয়। ফটিকছড়ি থানার ওসি মো. বাবুল আকতার বলেন, স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় তিনজনকে চুরিকাঘাত করা হলে তাদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। নিহতের বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে মামলায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।