ফটিকছড়িতে করোনা জয়ী চিকিৎসকের কাজে যোগদান

45

করোনা শনাক্ত হওয়ার পরও ভেঙে পড়িনি। সাহস রেখেছিলাম। বিশ্বাস রেখেছি সুস্থ হয়ে আবারও রোগীর সেবায় নিজেকে উজাড় করব। করোনাকে পরাজিত করে এখন অন্য রোগীদের করোনাযুদ্ধে জয়ী করতে মিশনে নেমেছেন তিনি। সুস্থ হয়ে আবারও ফিরেছেন সেই কর্মস্থলে, দিচ্ছেন রোগীদের সেবা। এ চিকিৎসকের নাম এইচ এস রাশেদুল আলম। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা। অসুস্থ হওয়ার ২২ দিন পর গত সোমবার কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, পিপিই, গ্লাভস ও চশমা পরে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে হাত না দেওয়াসহ রোগীদের নানা পরামর্শ দিচ্ছিলেন তিনি। রাশেদুল আলম জানান, আক্রান্ত হওয়ার পর পরিবার থেকে পুরোপুরি একা হয়ে যাই। এমন কঠিন বাস্তবতা পেরিয়ে আজ কাজে যোগ দিতে পেরে অন্য রকম লাগছে। উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার বাসিন্দা এ চিকিৎসক জানান, করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা জন্মাবে।
সে হিসেবে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবু সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করছি। তিনি আরো জানান, সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কাজে যোগ দিতে হবে, সেটাই স্বাভাবিক। আমাকে দেখে আরও অনেকে সাহসী হোক। করোনার যুদ্ধে আমাদের জিততে হবেই। রাশেদুল আলম জানান, নমুনা পরীক্ষায় ২৮ জুন করোনা পজিটিভ হয়। এর দুই দিন আগে তার জ্বর, কাশি এবং প্রচন্ড শরীর ব্যাথা লাগে। গত ৯ জুলাই তার শরীর থেকে দ্বিতীয়বার নমুুনা সংগ্রহ করে চবি ল্যাবে টেস্ট করা হয়। ফলাফল নেগেটিভ আসে। করোনা শনাক্তের পর বাসায় আইসোলেশনে থেকে তিনি চিকিৎসা নেন। এ চিকিৎসকের ধারণা, নিজ কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হওয়ার দুই দিন আগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অনেক রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, রোগীরা অনেকেই এখনো স্বাস্থ্যবিধি মানেন না। সেদিন রাতেই আমার খারাপ লাগা শুরু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাবিল চৌধুরী জানান, করোনাকে পরাজিত করে এখন তিনি কাজে যোগ দেওয়ায় সরকারি স্বাস্থ্যসেবায় গতি ফিরেছে।