পয়ঃনিষ্কাশনে ১০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাংক

34

বাংলাদেশের ৩০টি পৌরসভায় উন্নত পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সুযোগ বাড়াতে ১০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। ‘বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড স্যানিটেশন’ শিরোনামে প্রায় ২১ কোটি ডলারের এ প্রকল্পে আন্তর্জাতিক এই ঋণদাতা সংস্থাটির প্রতিশ্রæত অংশ গত বৃহস্পতিবার অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ওই সব পৌরসভার পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন পরিষেবার ক্ষমতা তৈরি হবে। এর অধীনে ছোট শহরগুলোর প্রায় ৬ লাখ বাসিন্দাকে পাইপলাইনে নিরাপদ পানি সরবরাহ করা হবে। এজন্য এই ৩০টি পৌরসভায় পানি শোধন সুবিধা, পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা, পাইপলাইনে সঞ্চালন ও সরবরাহ নেটওয়ার্ক ও ঘরে মিটারসহ সংযোগসহ সাবিক পানি অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশের প্রায় ৮৭ শতাংশ পরিবারের উন্নত উৎস থেকে পানি পাওয়ার সুযোগ থাকলেও ১০ শতাংশের বেশি মানুষ পাইপলাইনের পানি পায় না। প্রায় অর্ধেক পৌরসভায় পাইপলাইনে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও তার সুবিধা শুধু শহরের কেন্দ্রস্থলের গুটিকতক মানুষ ভোগ করতে পারে।
খবর বিডিনিউজের
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ প্রকল্প পৌরসভাগুলোর পয়ঃনিষ্কাশন ও নালা ব্যবস্থাকে উন্নত করবে। মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও নিষ্কাশন, গণশৌচাগার ও গুরুতর পয়ঃনিষ্কাশন অবকাঠামো তৈরিতে এ প্রকল্প বিনিয়োগ করবে। এর আওতায় মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের (মেথর) প্রশিক্ষণ দেওয়া ও সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) দেওয়া সহজ শর্তের এ ঋণ ৩০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে, যার মধ্যে প্রথম পাঁচবছর ঋণের কিস্তি দিতে হবে না। সোয়া এক শতাংশ সুদ ও পৌনে এক শতাংশ সার্ভিস চার্জ মিলিয়ে এই ঋণের বাংলাদেশকে বাড়তি ২ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
মোট ২০ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার ডলারের এই প্রকল্পের বাকি অর্থের মধ্যে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) দেবে ১০ কোটি ডলার। বাকি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার ডলারের বাংলাদেশ সরকার যোগান দেবে। বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।