ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে না করায় ব্লেড দিয়ে প্রেমিক সাইফুল ইসলামের জিহব্বা কর্তনের মামলায় প্রেমিকা, তার মা ও ভাইকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে প্রেমিকার বাবা সফিকুল ইসলামের রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
গতকার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা এ আদেশ দেন। জামিন পাওয়া তিন আসামি হলেন- প্রেমিকা শারমিন, তার মা আনোয়ারা বেগম ও ভাই ফারুক হোসেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় সাহা চার আসামিকে আদালতে হাজির করেন। সফিকুল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন এবং অপর তিন আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানিকালে আইনজীবী রেজাউল ইসলাম পলাশ আসামি সফিকুল ইসলামের রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন এবং অপর তিন আসামির জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সফিকুল ইসলামের রিমান্ড এবং জামিনের উভয় আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান এবং অপর তিন আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
মামলা থেকে জানা যায়, ধামরাইয়ের ফড়িঙ্গা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে শারমিনের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাইফুল ইসলামের। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারমিনের সঙ্গে সাইফুল ইসলাম অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এভাবে সময়ক্ষেপণ করতে থাকায় গত ২৩ অক্টোবর সকালে শারমিন আক্তার প্রেমিক সাইফুল ইসলামকে তার বাড়িতে ডেকে নেন। শারমিন আক্তারের পরিবারের সদস্যরা সাইফুল ইসলামকে মারধর করেন। পরে কৌশলে বেøড দিয়ে সাইফুল ইসলামের জিহ্বা কেটে ফেলেন। এক পর্যায়ে সাইফুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে গেলে শারমিনের পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পর পুলিশকে ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইফুল ইসলামের কেটে রাখা জিহব্বা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের বাবা রহমত আলী মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর শারমিনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।