প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে সেমিনার সামাজিক অসাম্য তুলে ধরতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে সমাজবিজ্ঞান

9

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির স্যোসিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর সহযোগিতায় ‘টেকসই উন্নয়নে সমাজবিজ্ঞানের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় জিইসি মোড়স্থ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের প্রধান দুটি ক্ষেত্র হলো স্বাস্থ্য ও শিক্ষা। ১৯৪৭ সালে তৎকালীন পূর্ববঙ্গে মানুষের গড় আয়ু ছিল ২৮ বছর। বর্তমানে তা বেড়ে ৭২-এ উন্নীত হয়েছে। এর পেছনে যেমন ভূমিকা রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ আবিষ্কারের, তেমনি রয়েছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা বিষয়ক সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির। এই সচেতনতা বৃদ্ধির পেছনে রাষ্ট্রের সমাজসম্পর্কিত ভূমিকা রয়েছে। সারা দেশব্যাপী ভ্যাকসিনের প্রসার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা সম্ভব হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহের মাধ্যমে। এছাড়া মাতৃমৃত্যুহার ও শিশুমৃত্যুহার হ্রাসেও কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমিকা রয়েছে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ছাড়াও তিনি সামাজিক অসাম্য ও দারিদ্রজনিত সমস্যা ইত্যাদি তুলে ধরার ক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞানই মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে সামাজিক বনায়নের ভূমিকাও তুলে ধরেন।
কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ ইফতেখার মনির। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিভাগের শিক্ষক ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা বলেন, টেকসই উন্নয়ন মানুষের জন্য, মানুষের ভবিষ্যত নিরাপদ করার জন্য। এজন্য বর্তমানটাও নিরাপদ করতে হবে। তিনি মানুষের ভবিষ্যত নিরাপত্তার জন্য অপচয় রোধ করাটাও টেকসই উন্নয়নের অংশ বলে উল্লেখ করেন।
বিভাগের শিক্ষক তানিয়া মাহমুদা তিন্নির সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ ইফতেখার মনির বলেন, একসময় আমাদের দেশের গ্রামগুলোতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন হয়েছে। এ কারণে সমাজের ও প্রকৃতির নানা ক্ষতি হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন হলো পরিবেশবান্ধব ও সামগ্রিক উন্নয়ন। মূল প্রবন্ধে ড. সাদিকা সুলতানা চৌধুরী সমাজবিজ্ঞান ও টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম বলেন, কৃচ্ছ্রতা ও সংযমপ্রবণতা জাতীয় ও টেকসই উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের শিক্ষক অর্পা পাল। সেমিনারে স্যোসিওলজি এন্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি