প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সম্পন্ন

11

প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। এই উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী ‘শোকাহত বাংলাদেশ’ শীর্ষক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীও সম্পন্ন হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেল ৩ টায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়াস্থ কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য বোরহানুল হাসান চৌধুরী, ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শীর্ষক তথ্যচিত্রের পরিচালক সৈয়দ সাবাব আলী আরজু।
ট্রাস্টি বোর্ডের ট্রেজারার ও ‘শোকাহত বাংলাদেশ’ শীর্ষক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বাস্তবায়ন কমিটির আহŸায়ক প্রফেসর একেএম তফজল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তাই আগস্ট হলো বাংলার ষ পৃষ্ঠা ৫, কলাম ৬.
ষ শেষ পৃষ্ঠার পর
আকাশ-বাতাস ও প্রকৃতির অশ্রæসিক্ত হওয়ার মাস। পাকিস্তানপন্থি একদল দুর্বৃত্ত সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছে। এই কলঙ্ক অমোচনীয়। বিশ^-ইতিহাসে এই দুর্বৃত্তরা চিরকাল ঘৃণিত হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সুদীর্ঘ ২৩ বছর বাঙালির অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছিলেন। এই আন্দোলন তিনি কোনো পর্যায়েই বিসর্জন দিতে রাজি হননি, এমনকি প্রধানমন্ত্রী পদের বিনিময়েও নয়। সে-কারণেই পাকিস্তানের শাসকচক্র তাঁকে এবং বাঙালিদের স্তব্ধ করার জন্য শেষ পর্যন্ত সামরিক অস্ত্রের ভাষাই প্রয়োগ করে ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ। নিরস্ত্র বাঙালির উপর নেমে আসে অস্ত্রের ঘৃণ্যতম আঘাত। নয় মাস নিঃশেষে প্রাণ বিলিয়ে দিয়ে, স্বাধীনতার বেদীমূলে ত্রিশ লক্ষ প্রাণ উৎসর্গ করেই বাঙালি এক মৃত্যুঞ্জয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জন করে তার হাজার বছরের ইতিহাসের প্রথম-প্রকৃত-স্বাধীনতা।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে পাকিস্তানপন্থী-প্রতিক্রিয়া-শক্তি পাকিস্তান-ফেরত সামরিক ও বেসামরিক আমলাতন্ত্রের সাহায্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে কেবলমাত্র সপরিবারে হত্যাই করেনি, একই সঙ্গে বাংলাদেশকেও পশ্চাদমুখী প্রতিক্রিয়ার অন্ধকারে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই প্রতিক্রিয়াচক্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের সব মহতী-অর্জন ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদকে গণমানুষ ও গণজীবন থেকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলতে প্রচেষ্টা চালায়।
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠান ছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়। শেষে সৈয়দ সাবাব আলী আরজু পরিচালিত ও সৈয়দ আশিক রহমান প্রযোজিত ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি