প্রাথমিক বাণিজ্য চুক্তির দ্বারপ্রান্তে যুক্তরাষ্ট্র-চীন

29

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে টেলিফোনে আলোচনার পর বাণিজ্য চুক্তির কিছু বিষয় ‘চূড়ান্তকরণের কাছাকাছি’ পৌঁছেছে ওয়াশিংটন ও বেইজিং। শুক্রবার আলোচনার পর এক বিবৃতিতে এ সংকট নিরসনে আলোচনা চলবে বলে জানিয়েছেন দুই দেশের বাণিজ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনের সঙ্গে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে গত বছর থেকে বেইজিংয়ের রফতানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেইজিংও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ শুরু করে। এই বাণিজ্য যুদ্ধ নিরসনে চলতি বছরের মে মাসে ওয়াশিংটন-বেইজিং আলোচনায় বসলেও কোনও চুক্তি ছাড়াই তা শেষ হয়। পরে চলতি মাসের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্বমন্ত্রী স্টিভেন ম্নুচিন বলেন, আগামী মাসে (নভেম্বর) দুই দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে প্রথম ধাপের চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য খসড়া চূড়ান্ত করতে দুই দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা কাজ করছেন। গত ১১ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, অচিরেই দুই দেশের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
টেলিফোনে আলোচনার পর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিশেষ কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। চুক্তির কিছু অধ্যায়ের বিষয় চূড়ান্তকরণের কাছাকাছি পৌঁছেছে দুই পক্ষ। মধ্যম শ্রেণির কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলবে। নিকট ভবিষ্যতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।’ শনিবার সকালে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘মূলত বাণিজ্য চুক্তির কিছু অংশ সম্পন্ন হয়েছে। যার ‘কৌশলগত পরামর্শ’ বিষয় নিশ্চিত করেছে বেইজিং।’ তবে এ বিষয়ের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানায়নি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংস্থা ইউএসটিআর।