প্রাথমিকে হচ্ছে না বই উৎসব মাধ্যমিক নিয়ে ধোঁয়াশা

32

করোনা মহামারির কারণে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে উৎসব হবে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হৃষিকেশ শীল। তবে যথা সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তবে মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে বই বিতরণের ব্যাপারে এখনো কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর ও উপজেলাগুলো মিলিয়ে চট্টগ্রামে ২ হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ ৫ হাজার ৭২৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় ৪৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ১৩৯ কপি। এছাড়াও কিন্ডার গার্ডেন ও বিভিন্ন এনজিও পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও প্রাথমিকে বই সরবরাহ করা হবে। ইংরেজি ভার্সনের ১৫ হাজার ৩০২ জন শিক্ষার্থীর জন্যও বই সরবরাহ করা হবে।
জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হৃষিকেশ শীল পূর্বদেশকে বলেন, প্রতিবছর পহেলা জানুয়ারি সারাদেশে বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের প্রথম দিনেই বই তুলে দেওয়া হয়। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে বই উৎসব হচ্ছে না। তবে যথাসময়ে যাতে শিক্ষার্থীরা বই হাতে পায় সেভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নগরীর কোতোয়ালি জোন ও সন্দ্বীপ উপজেলার বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে বই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কোতোয়ালি জোনের প্রায় ৮০ শতাংশ বিদ্যালয়ে নতুন বই পৌঁছে গেছে। আমরা আশা করছি যথা সময়েই সবগুলো বিদ্যালয়ে বই পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইবতেদায়ী ও উচ্চ বিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় ২ হাজার ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর স্যংখ্যা প্রায় ৮০ লক্ষ। ইবতেদায়ী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ লক্ষ। ইবতেদায়ী প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি এবং উচ্চ বিদ্যাগুলোতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে ২০০৯ সাল থেকে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, এই বছর মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বই বিতরণের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে বিদ্যালয়গুলোতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি এবং ইবতেদায়ী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির বইগুলো সংরক্ষণ করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলে দেওয়া হয়েছে। এই বইগুলো কাউকে দেওয়া যাবে না, নষ্ট ও বিক্রি করা যাবে না। এখনো বই বিতরণের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।