প্রাথমিকে ক্লাস শুরু সকাল ৯টায়

51

প্রাথমিক শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি ব্যবহারের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। রাজধানীর একটি স্কুলে এ কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর জেলা পর্যায়ের একটিতে পরিচালিত হবে ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি। এই পাইলট কার্যক্রম সফল হলে সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হাজিরা ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মঞ্জুর কাদির বলেন, ‘শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রথমে রাজধানীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পাইলট হিসেব নিয়ে দেখবো এক-দুই মাস। তারপর জেলা শহরে পাইলটিং করবো। এরপর গ্রামের স্কুলগুলোতেও শুরু করবো। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সব প্রতিষ্ঠানেই ডিজিটাল পদ্ধতিতেই হাজিরা নিশ্চিত করা হবে।’
তিনি জানান, এরই মধ্যে একটি সফটওয়ার কোম্পানি একটি সফটওয়ার দিয়েছে। বৈঠক করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং করবেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসার। কোনও শিক্ষক দায়িত্বে অবহেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তা মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন আকারে জানানো হবে।
এদিকে, শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করতে নতুন সময় নির্ধারণ করেছে সরকার। গত মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) পরিপত্র জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সকাল ৯টা থেকে বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে। তবে ঢাকা মহানগরের জন্য সময়সূচি আলাদা। এখানে সময় সকাল ৮টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত। তবে গ্রীষ্মকালীন সময়সূচি (সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সোয়া ২টা) পরিবর্তনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব ড. এ এফ এম মঞ্জুর কাদির।
ডিজিটাল হাজিরা পদ্ধতি, নতুন সময়সূচি প্রবর্তন ছাড়াও এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেমন: বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুপেয় পানি, সেনিটেশন, বিদ্যালয়ের বহিরাঙ্গনের পরিচ্ছন্নতারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনা মানতে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা বলা হয়েছে পরিপত্রে।