প্রস্তুত অ্যারো-৩, ইরানকে ইসরায়েলের হুমকি

61

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অ্যারো-৩ সব ধরনের পরীক্ষায় পাস করেছে। এটি ইরান-সিরিয়াসহ বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রবিবার ২৮ জুলাই এক বিবৃতিতে অ্যারো-৩’র তিনটি গোপন পরীক্ষা সফল হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নেতানিয়াহু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘অ্যারো-৩ ব্যালিস্টিক মিসাইল শিল্ড’ আলাস্কায় ধারাবাহিক পরীক্ষায় পাস করেছে। এটি আকাশে নিরাপদ উচ্চতায় থাকতেই যেকোনো অননুমোদিত ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম। ২০১৫ সালে ভূমধ্যসাগরে চালানো পরীক্ষায় পাস করায় ২০১৭ সালে এটি ইসরায়েলে মোতায়েন করা হয়।
সম্প্রতি পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব চলছে। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন জানায়, ইরান মধ্যম পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যেটি অন্তত এক হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। তেহরানের দাবি, এটি তাদের প্রতিরক্ষার খাতিরেই করা হচ্ছে। রবিবার (২৮ জুলাই) নেতানিয়াহু বলেন, আজ ইরান বা যেকোনো জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সক্ষমতা আছে ইসরায়েলের। সব প্রতিপক্ষের জানা দরকার, আমরা তাদের আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক- দু’ভাবেই হারাতে সক্ষম।
জানা যায়, আলাস্কায় অ্যারো-৩’র পরীক্ষা গত বছর হওয়ার কথা থাকলেও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে এর প্রথম পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছিল। তখন কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, এতে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রটিতে কিছু সমস্যা হয়েছে। একই ভাবে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ২০১৭ ও ২০১৮ সালেও এর পরীক্ষা কার্যক্রম হঠাৎ স্থগিত করে ইসরায়েল। তবে, আলাস্কায় চালানো পরীক্ষায় নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করতে পেরেছে অ্যারো-৩। এটি তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ, রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম ও এলবিট সিস্টেমস লিমিটেডের সহায়ক প্রতিষ্ঠান এলিসরা কোম্পানি। অ্যারো-৩’র সফলতা ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র জোটের ক্ষমতা বৃদ্ধির নজির বলে মনে করছে দু’দেশ।
রবিবার ২৮ জুলাই নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেডম্যান। এসময় তাদের আলাস্কায় অ্যারো-৩ পরীক্ষার ভিডিও দেখানো হয়। পরে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস অ্যাডমিরাল জন হিল বলেন, ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে ইসরায়েলি প্রদেশ ও মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষার জন্য, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলানিউজপ্রস্তুত অ্যারো-৩, ইরানকে ইসরায়েলের হুমকি

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অ্যারো-৩ সব ধরনের পরীক্ষায় পাস করেছে। এটি ইরান-সিরিয়াসহ বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ইসরায়েলকে সুরক্ষা দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। রবিবার ২৮ জুলাই এক বিবৃতিতে অ্যারো-৩’র তিনটি গোপন পরীক্ষা সফল হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নেতানিয়াহু।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘অ্যারো-৩ ব্যালিস্টিক মিসাইল শিল্ড’ আলাস্কায় ধারাবাহিক পরীক্ষায় পাস করেছে। এটি আকাশে নিরাপদ উচ্চতায় থাকতেই যেকোনো অননুমোদিত ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম। ২০১৫ সালে ভূমধ্যসাগরে চালানো পরীক্ষায় পাস করায় ২০১৭ সালে এটি ইসরায়েলে মোতায়েন করা হয়।
স¤প্রতি পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব চলছে। গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন জানায়, ইরান মধ্যম পাল�ার একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, যেটি অন্তত এক হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। তেহরানের দাবি, এটি তাদের প্রতিরক্ষার খাতিরেই করা হচ্ছে। রবিবার (২৮ জুলাই) নেতানিয়াহু বলেন, আজ ইরান বা যেকোনো জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সক্ষমতা আছে ইসরায়েলের। সব প্রতিপক্ষের জানা দরকার, আমরা তাদের আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষামূলক- দু’ভাবেই হারাতে সক্ষম।
জানা যায়, আলাস্কায় অ্যারো-৩’র পরীক্ষা গত বছর হওয়ার কথা থাকলেও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে এর প্রথম পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছিল। তখন কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, এতে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রটিতে কিছু সমস্যা হয়েছে। একই ভাবে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে ২০১৭ ও ২০১৮ সালেও এর পরীক্ষা কার্যক্রম হঠাৎ স্থগিত করে ইসরায়েল। তবে, আলাস্কায় চালানো পরীক্ষায় নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করতে পেরেছে অ্যারো-৩। এটি তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ, রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেম ও এলবিট সিস্টেমস লিমিটেডের সহায়ক প্রতিষ্ঠান এলিসরা কোম্পানি। অ্যারো-৩’র সফলতা ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র জোটের ক্ষমতা বৃদ্ধির নজির বলে মনে করছে দু’দেশ।
রবিবার ২৮ জুলাই নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেডম্যান। এসময় তাদের আলাস্কায় অ্যারো-৩ পরীক্ষার ভিডিও দেখানো হয়। পরে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস অ্যাডমিরাল জন হিল বলেন, ক্রমবর্ধমান হুমকি থেকে ইসরায়েলি প্রদেশ ও মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষার জন্য, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলানিউজ