প্রসাধনীর দোকানে তরুণীদের ভিড়

25

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদ মানে নতুন পোশাক ও আকর্ষণীয় সাজগোজ। তাই আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পোশাকের পাশাপাশি প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানেও ভিড় জমাচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা। কেউ কিনছেন পছন্দের চুড়ি, কানের দুল ও মেকআপ বক্স। কেউ কিনছেন পোশাকের সাথে লিপিস্টিক, নেইলপলিশ ও আইভ্রু। পিছিয়ে নেই তরুণরাও। তারাও শেষ মুহূর্তে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের আঁতর ও বডি স্প্রে। ঈদের বাকি আরও ২/৩দিন। অধিকাংশ তরুণ-তরুণী ইতোমধ্যে পোশাক কিনে ফেলেছেন। তাই এখন ভিড় করছেন প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর পাইকারি রিয়াজউদ্দিন বাজার ও টেরিবাজার ছাড়াও অভিজাত শপিংমল স্যানমার ওশান সিটি, আফমি প্লাজা, ইউনেস্কো সেন্টার, আমীন সেন্টার, মিমি সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সেন্ট্রাল প্লাজা, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স, লাকি প্লাজা, সিঙ্গাপুর মার্কেট, ভিআইপি টাওয়ার, মতি টাওয়ার, হাইওয়ে প্লাজা, স্বজন সুপার মার্কেট, গুলজার টাওয়ার, কেয়ারী ইলিশিয়াম, চকভিউ মার্কেট, মতি টাওয়ার, মতি কমপ্লেক্স, সৈয়দ টাওয়ার, বালি আর্কেডসহ সব মার্কেটেই এখন জমে উঠেছে প্রসাধনী সামগ্রীর বেচাকেনা।
চকবাজারের বালি আর্কেডে শপিংয়ে আসা কলেজ শিক্ষার্থী নাইমা সুলতানা জানান, ঈদের কেনাকাটা প্রায় শেষ। বাড়ির সবার জন্য পোশাক কিনেছি। আজকে কিছু কসমেটিক সামগ্রী কিনতে আসলাম। মেহেদি এবং কিছু চুড়ি নিয়েছি। আরও কিছু কেনাকাটা করতে হবে।
ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রসাধনী দোকানের বিক্রেতারা। চকবাজার মতি টাওয়ারের প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানের বিক্রয়কর্মী হাবিব জানান, প্রতিবারের মতো এবারও শেষ মুহ‚র্তের কেনাকাটায় আমাদের দোকানে ক্রেতার ঢল নেমেছে। তরুণীদের পছন্দের প্রসাধনীর মধ্যে রয়েছে বডি স্প্রে, কালার কসমেটিক, ফাউন্ডেশন, ফেসওয়াশ, উপটান, নেইল পলিশ, আইলাইনার, লিপলাইনার, মাসকারা, আইভ্রæ, কাজল, আইশ্যাডো ও পারফিউম।’ এ ছাড়া মেহেদি থাকে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। তাই ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি দোকানেই ভালোই বিক্রি হচ্ছে মেহেদি।
অন্যদিকে সময়ের পরিবর্তনে এখন প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে ভিড় দেখা যাচ্ছে তরুণদেরও। ঈদে নিজেদের আরও বেশি আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে কিনছেন বিভিন্ন ধরনের পারফিউম, বডি স্প্রে, আংটি, গলার চেইন, ব্রেসলেট ও কানের রিং। গোলজার টাওয়ারের বিক্রয়কর্মী মো. হানিফ বলেন, ছেলেরা বেশি কিনছেন পারফিউম। পাশাপাশি কেউ কেউ কিনছেন ব্রেসলেট ও গলার চেইন।
মতি টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন পূর্বদেশকে বলেন, প্রতি ঈদেই আমাদের মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় থাকে। এ বছরও ব্যতিক্রম নয়। রোজার শুরু থেকেই বেচা-বিক্রি ভালো ছিল। তবে শেষ মুহূর্তেও জমে উঠেছে কেনাকাটা। আমরা যেমন আশা করেছিলাম এর চেয়ে ভালো চলছে। ঈদের আগে জুতা-স্যান্ডেল ও কসমেটিকসের বেচাবিক্রি বেশি হয়। বিশেষ করে নারীদের পণ্যগুলো বেশি চলে। আমাদের মার্কেটে এসে ক্রেতারা বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে পারছেন। কসমেটিকস সামগ্রীর আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণে দাম আগের বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
তিনি বলেন, ঈদের বাকী আর ২-৩ দিন। অনেক মানুষ গ্রামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই হিসেবে বেশিরভাগ মানুষ দ্রুত কেনাকাটা সারতে চাইবেন। শেষ মুহূূর্তে ক্রেতারা এখন প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানেই ভিড় জমাচ্ছেন। পাশপাশি নগরীর স্থায়ী বাসিন্দারাও তাদের পছন্দের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন। তাই মার্কেটে শেষ মুহূর্তে একটু ভিড় বেশি দেখা যাচ্ছে।