প্রশাসন দৃষ্টি দেবেন কি?

20

প্রধানমন্ত্রী বলছেন কৃষি জমি খালি রাখা যাবেনা অথচ দূষিত পানির কারণে পটিয়াতে শত শত একর জমি অনাবাদি হয়ে আছে আজ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। কোন ব্যবস্থা নেওয়া হলনা। খালগুলোতে বর্জ্য, কলকারখানা, ফ্যাক্টরির নির্গত দুর্গন্ধ যুক্ত বিষাক্ত ময়লা ফেলার কারণে মানুষ চলাফেরা করা দায়।
চাষাবাদের কল্পনাও করা যায়না। চাষাবাদের উপযোগী করতে হলে খালকে দূষণ মুক্ত করতে হবে। আর খাল দূষণ মুক্ত করতে হলে ফ্যাক্টরীর বর্জ্য খালে ফেলা বন্ধ করতে হবে। তারপর কৃষক উপযোগী পরিবেশে চাষাবাদ করতে পারবে। জমি এখন ঝোপ জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। কেয়াবনে মাথা সমান খরের ঘন বন হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় চাষতো দূরের কথা জমিতে নামারও কেউ সাহস করে না। বড় বড় জোঁক সেখানে স্থায়ী বাস গড়েছে। কৃষকদের নিজ ব্যবস্থাপনায় এই সমস্যা সমাধান কখনো সম্ভব নয়।
উপজেলার জঙ্গল খাইন, হাবিলাসদ্বীপ, বড়লিয়া, ধলঘাট ইউনিয়ন সহ অধিকাংশ ইউনিয়নের অনাবাদি জমিতে কখনো কৃষি অফিসারদের চোখ পড়েনি মনে হয়। তারাতো কাজ করুক আর না করুক বেতন পেয়ে যায়। কৃষকরা চাষ না করলে তাদের ফসল আসেনা। জমিতে ফসল ফলানো যাদের কর্ম তারা এখন নিরুপায়। তাদের কাজ না করলে কেউ বেতন দেয়না। কৃষি অফিসাররা সে কথা হয়ত ভুলে গেছেন। উক্ত অনাবাদি জমি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আবাদ যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা হোক। এটাই দাবি।
লায়ন মোহাম্মদ আবু ছালেহ্
সভাপতি
ক্লিন বাংলাদেশ।