প্রবাসি ভাইসহ দুইজন সাক্ষ্য দিবেন আজ

16

নগরীতে জিল্লুর রহমান ভান্ডারি হত্যা মামলায় চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে আজ মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিবেন ভিকটিমের ছোট ভাই জিয়া উদ্দিন বাবলু। একইদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও সাক্ষ্যদানের কথা রয়েছে। জিয়া উদ্দিন বাবলু এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে এ করোনার মধ্যেও চাকুরির ঝুঁকি নিয়ে গত ২১ জানুয়ারি কাতার থেকে এসেছেন।
এ বিষয়ে জিয়া উদ্দিন বাবলু জানান, ভাই হত্যার বিচার চাইতে কাতার থেকে এ করোনার মধ্যে চাকুরির ঝুঁকি নিয়ে এসেছি। এরই মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর এ হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে আসে। এরপর শুধু তারিখের পর তারিখ পড়ে। সর্বশেষ তদন্ত সংস্থা সিআইডির তরফে মামলার ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। জিল্লুর হত্যাকান্ডের বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে রানিরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে ভিকটিম জিল্লুর রহমান ভান্ডারিকে আসামিরা এলোপাতাড়ি মারধর ও উপর্যুপরি গুলি করে মারাত্মকভাবে জখম করেন। ভিকটিমের ভাই মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বাবলুকে ঘটনার তিনমাস আগে কাতারে নেন আসামি ইসমাইল প্রকাশ পিস্তল ইসমাইলের ভাই মোহাম্মদ জব্বার। কিন্তু জব্বার বাবলুকে কাতারে ‘পতাকা’ লাগিয়ে না দেয়ায় বাবলুর সাথে জব্বারের কথা কাটাকাটি হয়। এ অবস্থায় বাবলুর ভিসা বাতিল করে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেন জব্বার। এ অবস্থায় একই বছরের ২০ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে ইসমাইলকে রানিরহাট বাজারে পেয়ে ভিকটিম ভান্ডারি তার ছোট ভাই বাবলুকে দেশে ফেরত পাঠানোর কারণ জানতে চান। একইসাথে ভিসা বাবদ দেয়া ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিতে বলেন জিল্লুর। এসময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় আসামিরা রানিরহাট সিএনজি টেক্সি স্টেশনে জিল্লুরকে পেয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাকে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটের সামনে নিয়ে পায়ে গুলি করা হয়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরেরদিন ২২ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ভিকটিমের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রাঙ্গুনিয়া থানায়। মামলার এজাহারে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে দেখানো হয়।