প্রধান আসামি কাউন্সিলর সাবের কারাগারে

101

নগরীর পাহাড়তলীতে যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাউন্সিলর সাবের আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ‘গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার’ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি সাবের আহমেদ। মামলা দায়ের হওয়ার পর হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন তিনি।জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন সাবের আহমদ। তার পক্ষে ফের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। বাদি পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে জামিনের বিরোধিতা করেন। পরে আদালত সাবের আহমদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী বলেন, আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন মহিউদ্দীন সোহেল হত্যা মামলার আসামি সাবের আহমদ। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
গত ৭ জানুয়ারি পাহাড়তলী বাজারে ‘গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হন যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন সোহেল’। তখন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পুলিশের পক্ষ থেকে মহিউদ্দিন সোহেলকে ‘সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ’ হিসেবে দাবি করা হয়। পরের দিন (৮ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে মহিউদ্দিন সোহেলের ছোট ভাই মো. শাকিরুল ইসলাম শিশির দাবি করেন মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পেছনে স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহমেদ, জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ কয়েকজন জড়িত বলে দাবি করা হয়। ওইদিন রাতেই ডবলমুরিং থানায় মহিউদ্দিন সোহেল ‘নিহত হওয়ার’ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহমেদকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন শাকিরুল ইসলাম শিশির। মামলায় ২৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি ও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এদিকে গত ২২ এপ্রিল রাতে ডবলমুরিং থানা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মহিউদ্দীন সোহেল হত্যা মামলার আসামি জাবেদ।