প্রধান আসামি ইসমাইল বুলুর ৮ বছরের কারাদন্ড

9

কর্ণফুলী প্রতিনিধি

কর্ণফুলীর শিকলবাহায় ৬ জনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে প্রধান আসামি মোহাম্মদ ইসমাইল (৫২) বুলুকে ৮ বছরের কারাদন্ড নিয়েছেন আদালত। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রবিউল হোসেন গত ৩ জানুয়ারি ৪ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার রায়ে আদালত প্রধান আসামি মোহাম্মদ ইসমাইল বুলুকে হত্যা চেষ্টার অপরাধে ৫ বছর ও ৩২৪ ধারায় ৩ বছর সাজা প্রদান করেন। এরপর তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। অন্য তিন আসামিকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে ৩ মাস করে সাজা প্রদান করেন। প্রধান আসামি মোহাম্মদ ইসমাইল বুলু পটিয়া উপজেলার মালিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা মৃত খলিলুর রহমানের পুত্র। বর্তমানে তিনি নগরীর ১০ আইস ফ্যাক্টরি রোডে বসবাস করেন। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন মোহাম্মদ ফারুক,মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও মোহাম্মদ তাহরিত। এদের তিনজনকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে ৪৪৭ ধারায় ৩ মাস করে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ ইমরান।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৮ আগস্ট শিকলবাহা ইউনিয়নের কালারপোল এলাকায় সমাজসেবক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মহিউদ্দীন মুরাদের সাথে জমির বিরোধে বিবাদ হয়। ওই সময় মামলার প্রধান আসামির নেতৃত্বে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও প্রতিপক্ষের উপর গুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শিশু আরিফসহ মোট ৬ জন গুলিবিদ্ধ হন। ওই ঘটনায় মহিউদ্দিন মুরাদের বড়ভাই জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, ওই মামলায় কর্ণফুলী থানার তৎকালীন সেকেন্ড অফিসার উৎপল বড়ুয়া তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত গত ৩ জানুয়ারি রায় প্রদান করেন। এই বিষয়ে মামলার বাদী জসিম উদ্দিন আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, অপরাধীর শাস্তি যেন নিশ্চিত হয়। আদালতে আসামির শাস্তি ঘোষণার পর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করে স্থানীয় লোকজন। বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এডভোকেট মোহাম্মদ জাফর ইকবাল ও মোহাম্মদ ইমরান।
এডভোকেট মোহাম্মদ ইমরান জানান, রায় ঘোষণার পর আদালত প্রধান আসামি মোহাম্মদ ইসমাইলকে কারাগারে প্রেরণ করেন। অন্য তিন আসামিকে মামলা রায়ের বিপক্ষে আপিলের শর্তে জামিন প্রদান করেন। এদের মধ্যে মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রধান আসামির ভাই। অন্য দুই আসামি হলেন বরগুনা জেলার সোনাখালী গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাসেমের পুত্র মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও আইচ ফ্যাক্টরি রোডের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ মফিজের পুত্র মোহাম্মদ রফিক প্রকাশ তাহরিত।