প্রধানমন্ত্রীর জনসভার নিরাপত্তায় থাকবে সাড়ে ৭ হাজার পুলিশ

22

পূর্বদেশ অনলাইন
মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিকে ঘিরে নগরজুড়ে সাড়ে সাত হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এজন্য তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচি সম্পন্ন করার জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা চান। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিং এ এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ মোতায়েন ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে জানিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, সর্বোচ্চ ফোর্স কখন মোতায়েন হবে, এটা আমরা পাবলিকলি ওপেন করি না। এ বিষয়ে আমাদের কাছে নির্দেশনা যেভাবে এসেছে এবং আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, সেভাবেই কাজ করবো। পুলিশ এখন থেকেই নিরাপত্তার কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয় করে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স। তাদের তত্ত্বাবধানে এবং পরামর্শক্রমে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকবে। ‘এসএসএফ, পিজিএফ, সাদা পোশাকের পুলিশ, ইউনিফর্মের পুলিশ, গোয়েন্দা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তায় আর্চওয়ে, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, ড্রোনসহ প্রযুক্তিগত সকল কিছু যুক্ত থাকবে। প্রযুক্তি এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিচ্ছি। শুধু পলোগ্রাউন্ডেই পুলিশ থাকবে না, পুরো শহর একটি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। জনসভার দিন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা গাড়ি ও মিছিল নিয়ে জনসভায় আসবেন, তারা কোথায় গাড়ি থেকে নামবেন, মিছিল কোথায় থামবে- সেটি আমরা জানিয়ে দেবো। একটি বিষয় হচ্ছে- জনসভার দিন সকাল এবং বিকেলের শিফটে পরীক্ষা আছে। দুই শিফটে এক হাজার চারশর মতো করে পরীক্ষার্থী আছে। জনসভাস্থলের পাশেও একটি পরীক্ষাকেন্দ্র আছে। শব্দযন্ত্র এমনভাবে স্থাপন করা হবে, যাতে সেখানে কোনো সমস্যা না হয়। পরীক্ষার্থীরা যেন একটু আগেভাগে বাসা থেকে বের হন। এরপরও কেউ আটকে গেলে কিংবা সমস্যায় পড়লে ট্রিপল নাইনে ফোন করে আমাদের জানালে পুলিশ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ, হাতে অন্তত এক ঘণ্টা সময় নিয়ে যেন সবাই বাসা থেকে বের হন।’