প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর যুদ্ধদিনে পা হারানো রোকেয়ার জন্য

10

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মাইন বোমা বিস্ফোরণে পা হারান সীতাকুন্ড উপজেলার মাদামবিবির হাটের রোকেয়া বেগম। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে তিনি পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরপ একটি ঘর। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এসে একটি খাস জায়গা ও একটি ঘরের আশায় দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার অবসান হওয়ায় অনেক খুশি রোকেয়া বেগম।
নিজের কোন ভিটে মাটি ও ঘর না থাকায় বহু বছর ধরে চরম দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছিলেন তিনি। অনেকের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন কিন্তু তার আশা পূরণ হয়নি। পরিশেষে সীতাকুন্ডের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখে গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় নির্মিত একটি ঘরের চাবি ও খতিয়ান হস্তান্তর করেন তাকে। একইদিন আরো ৩১ জনকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরুপ ঘরের চাবি হাতে তুলে দেন চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর ‘যুদ্ধে পা হারানো রোকেয়ার নাই কোন স্বীকৃতি’ শিরোনামে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় নিউজ দেখতে পাই। এসময় আমি তাৎক্ষনিক উপজেলা নিবার্হী কর্মকতাকে রোকেয়া বেগমকে ঘর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ, শুধু ঘর উপহার নয়, উনার রাষ্ট্রশাসনে মহিলাদের বয়স্ক, বিধবা, মাতৃকালীন ভাতাসহ নানান সুযোগ-সুবিধা চালু করেছেন। যা থেকে সাধারণ জনগণ খুবই উপকৃত হচ্ছেন।’
ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. আশরাফুল আলম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর, প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুচ্ছফা, ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, বাঁশবাড়িয়া শওকত আলী জাহাঙ্গীর, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌহিদুল করিম।