প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি নিয়ে চলচ্চিত্র

54

চলতি বছরের ফেব্রূয়ারিতে নুরুল আলম আতিকের ‘মানুষের বাগান’ ও গত রমজানে রাশিদ পলাশের ‘পদ্মপুরাণ’ ছবিতে কাজ করেছিলেন প্রসূন আজাদ। দুটি চলচ্চিত্রই একেবারে আলাদা। এবার তিনি নতুন আরও ছবিতে কাজ করলেন। এর নাম ‘পায়রার চিঠি’। নিশিথ সূর্যর পরিচালনায় এবারের গল্পটি আরও ব্যতিক্রম। যেখানে থাকছে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা একটি চিঠির বাস্তব ঘটনা। ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট পটুয়াখালী সরকারি জুবিলি হাইস্কুলের ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস পায়রা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি লিখেছিল। এত অল্প বয়সে শীর্ষেন্দুর এমন সচেতনতা ও সাহস দেখে অত্যন্ত খুশি হয়ে প্রত্যুত্তরে প্রধানমন্ত্রী চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেটাই উঠে আসবে চলচ্চিত্রে। ছবির নির্মাতা নিশিথ সূর্য বলেন, ‘প্রসূন এখানে জুবিলি হাইস্কুলের শিক্ষিকার চরিত্রে অভিনয় করছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো চিঠিটি পড়ে শোনান। আর শীর্ষেন্দুর ভূমিকায় আছে কৌশাল চৌধুরী ও মায়ের চরিত্রে মাইমুন ফেরদৌস মম।’ গত ২১ জুলাই থেকে পটুয়াখালীতে এর দৃশ্যধারণ চলছে।
পুরো ইউনিট এখন সেখানেই আছে। প্রসূন বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমি পর্দায় অনিয়মিত। ধীরে ধীরে কাজে যুক্ত হচ্ছি। এভাবেই ফিরতে চাই। আর এ ছবিটির গল্প সত্যিই মনকাড়া ও বাস্তবের ঘটনা নিয়ে তৈরি।’ প্রধানমন্ত্রী সে বছরই (২০১৬) ৮ সেপ্টেম্বর ফিরতি চিঠিটি লেখেন। সেটি শীর্ষেন্দুর স্কুলে পৌঁছায় ২০ সেপ্টেম্বর। সেতু নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে শীর্ষেন্দু লিখেছিল, “আমার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি এবং বাড়ি যেতে আমাদের পায়রা নদী পার হতে হয়…। এই নদীর বড় বড় ঢেউয়ে কখনও নৌকা ও ট্রলার ডুবে যায়। এ ধরনের দুর্ঘটনায় এই নদীতে অনেক প্রাণহানি হয়েছে। আমি বাবা-মাকে খুব ভালোবাসি, তাদের কখনো হারাতে চাই না। অতএব, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি মির্জাগঞ্জ নদীতে (পায়রা) একটি সেতু নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেবেন।’