প্রথমে অপহরণ তারপর ধর্ষণ করে তারা

33

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোতোয়ালি থানায় মাদ্রাসাপড়ুয়া ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। দোকানে চাকরি দেয়ার কথা বলে শিশুদের ধর্ষণ করতো একটি চক্র। পরে চাকরি না দিয়েই অন্য কোনো জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হতো। গতকাল নগর ও রাউজানে অভিযান চালিয়ে এ চক্রের সন্দেহভাজন তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন, মোহাম্মদ হারুন (৫৫), মামুনুর রশিদ (২৪) ও মিজানুর রহমান (২৫)।
পুলিশ জানায়, গত ২৬ ডিসেম্বর ব্যাটারি গলি এলাকার একটি মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফেরার পথে এক শিশুকে চাকরি দেয়ার কথা বলে নিয়ে যায় চক্রটির সদস্যরা। পরে শিশুটিকে ধর্ষণের পর কালুরঘাট সেতুর পাশে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিশুটি এক গাড়ি চালকের মাধ্যমে তার বাসায় ফিরে এসে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। শিশুটির বাবা বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রের সদস্যরা একজন শিশুকে এনে দিতে পারলে টাকা পেতেন। অনেক সময় নিজেরাও ধর্ষণ করতেন। গ্রেপ্তার হওয়া মামুনুর রশিদ ওই মাদ্রাসাপড়ুয়া শিশুকে চাকরির কথা বলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ শেষে ছেড়ে দেন। এ চক্রের মূলহোতা গ্রেপ্তার হওয়া হারুন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনকে আজ (মঙ্গলবার) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। জড়িত চক্রের বাকি সদস্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।