নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম পরীক্ষায় ছিল শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্পূর্ত উপস্থিতি। গতকাল রবিবার ছিল পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা। প্রথম দিনের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ১৯৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও কেন্দ্রের বাইরে ছিল অভিভাবকদের ভিড়। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একজনের বেশি অভিভাবক না যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০৪টি কেন্দ্রে প্রথম দিন এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ২৮ হাজার ৩৩৭ জন। এদের মধ্যে উপস্থিত ছিল ২৮ হাজার ১৪৩ জন। অনুপস্থিত ছিল ১৯৪ জন পরীক্ষার্থী। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৬১ হাজার ১২২ জন।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে ১২২ কেন্দ্রে ২০ হাজার ৭৫১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম দিন অংশ নেয় ২০ হাজার ৬৩৯ জন। অনুপস্থিত ছিল ১১২ জন। কক্সবাজারে ২৮টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৪ হাজার ১২৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশ নেয় ৪ হাজার ১০১। অনুপস্থিত ছিল ২৭ জন। রাঙামাটি জেলায় ২০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৯৪ জনের মধ্যে অংশ নেয় ১ হাজার ৩৮৪ জন। অনুপস্থিত ছিল ১০ জন পরীক্ষার্থী।
খাগড়াছড়ি জেলায় ২২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১ হাজার ৪৮৭ জনের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ হাজার ৪৫৯ জন। অনুপস্থিত ছিল ২৮ জন। বান্দরবান জেলায় ১২টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫৭৭ জনের মধ্যে অংশ নেয় ৫৬০ জন। অনুপস্থিত ছিল ১৭ জন পরীক্ষার্থী।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, প্রথম দিনের পরীক্ষা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম দিনে পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষায় চট্টগ্রামে শিক্ষা বোর্ডে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯৪ জন। সব পরীক্ষা কেন্দ্রের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো ছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বোর্ড থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ছিল। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ১২টি বিশেষ ভিজিল্যান্স টিম পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে।
