প্রত্যাশা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুততরকরণ

42

রোহিঙ্গা শরণার্থী আমাদের একটি প্রধান সমস্যা। দীর্ঘ দিন ধরে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চল কক্সবাজার জেলার টেকনাফে শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে। তাদের মিয়ানমার সরকার হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বাধ্যতামূলক ভাবে বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যেতে বাধ্য করেছিল। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী অনুপ্রবেশ করায় বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। যার কারণে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ে সোচ্চার হয়। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের প্রতিনিধিসহ বহু সরকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা সরেজমিনে দেখে গিয়েছেন। যার ফলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার টনক নড়েছে। অবশেষে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। গত বছরের ১৫ নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান শুরু করার কথা ছিল। নানা জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে মায়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দল বারবার বাংলাদেশ সফর করে প্রত্যাবসান প্রক্রিয়া ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ২২ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান শুরু হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশের পররাষ্ট্র সচিব। রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান নিয়ে গঠিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান টাস্কফোর্স কমিটি প্রত্যাবসান প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ করেছে এমন খবর আমরা দেশের সংবাদ মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।
আমরা আগামী নির্ধারিত তারিখ হতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান শুরু হবে এমন আশা করতেই পারি। আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলে এ কথা স্পষ্ট হয় যে, রোহিঙ্গারা তাদের দেশ মিয়ানমারের আরাকানে ফিরে যেতে ইতস্তত বোধ করছে। কেন না রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব এবং নিরাপত্তা বিষয়ে মিয়ানমার সামরিক সরকার এখনো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মৌলিক ও মানবিক অধিকার বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়নি। রোহিঙ্গাদের মানবিক ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হলেই মিয়ানমারে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা, যা হোক মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা তরান্বিত করুক এমন প্রত্যাশা আমাদের। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মানবিক নিরাপত্তা বিধানে আন্তর্জাতিক চাপ আরো বৃদ্ধি করতে আরো কৌশলী হতে হবে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা যতবেশি দ্রুত আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি করতে পারি তত দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান সমস্যার সমাধান তরান্বিত হবে।প্রত্যাশা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুততরকরণ

রোহিঙ্গা শরণার্থী আমাদের একটি প্রধান সমস্যা। দীর্ঘ দিন ধরে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চল কক্সবাজার জেলার টেকনাফে শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করছে। তাদের মিয়ানমার সরকার হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বাধ্যতামূলক ভাবে বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশে চলে যেতে বাধ্য করেছিল। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী অনুপ্রবেশ করায় বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। যার কারণে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ে সোচ্চার হয়। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের প্রতিনিধিসহ বহু সরকারের প্রতিনিধি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা সরেজমিনে দেখে গিয়েছেন। যার ফলে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার টনক নড়েছে। অবশেষে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। গত বছরের ১৫ নভেম্বরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান শুরু করার কথা ছিল। নানা জটিলতায় তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে মায়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দল বারবার বাংলাদেশ সফর করে প্রত্যাবসান প্রক্রিয়া ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ২২ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান শুরু হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশের পররাষ্ট্র সচিব। রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান নিয়ে গঠিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান টাস্কফোর্স কমিটি প্রত্যাবসান প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ করেছে এমন খবর আমরা দেশের সংবাদ মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি।
আমরা আগামী নির্ধারিত তারিখ হতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান শুরু হবে এমন আশা করতেই পারি। আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে। তবে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলে এ কথা স্পষ্ট হয় যে, রোহিঙ্গারা তাদের দেশ মিয়ানমারের আরাকানে ফিরে যেতে ইতস্তত বোধ করছে। কেন না রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব এবং নিরাপত্তা বিষয়ে মিয়ানমার সামরিক সরকার এখনো রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মৌলিক ও মানবিক অধিকার বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়নি। রোহিঙ্গাদের মানবিক ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হলেই মিয়ানমারে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা, যা হোক মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা তরান্বিত করুক এমন প্রত্যাশা আমাদের। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মানবিক নিরাপত্তা বিধানে আন্তর্জাতিক চাপ আরো বৃদ্ধি করতে আরো কৌশলী হতে হবে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা যতবেশি দ্রæত আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি করতে পারি তত দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবসান সমস্যার সমাধান তরান্বিত হবে।