প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় ৬৮ প্রার্থী

23

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬৮ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল সকালে লাভলেইনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেয়া হয়। চারজন সাধারণ সদস্য প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে দুইজন, সংরক্ষিত সদস্য ২২ ও সাধারণ সদস্য পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতীক পেয়ে প্রচারণায় নেমেছেন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ও নারায়ণ রক্ষিত মোটরসাইকেল প্রতীকে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রার্থীদের প্রতীক তুলে দেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান পূর্বদেশকে বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দের সময় প্রার্থীদেরকে আচরণবিধি মেনে চলতে কড়া নির্দেশনা দিয়েছি। ভোটকেন্দ্রে যাতে কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ না করে সে কথাও বলেছি। নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা আমরা দৃষ্টি রাখবো। এছাড়াও যেসব এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে সেদিকে বাড়তি নজর দিব।’
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সংরক্ষিত ওয়ার্ড-১ জাহান আরা নাজনীন (ফুটবল), ইয়াছমিন আক্তার কাকলী (বই), রওশন আরা বেগম (হরিণ), ইসমত আরা সুলতানা (দোয়াত কলম), নার্গিস আকতার (টেবিল ঘড়ি), সংরক্ষিত ওয়ার্ড-২ দিলোয়ারা ইউসুফ (হরিণ), জুবাইদা সরওয়ার চৌধুরী নিপা (ফুটবল), এড. উম্মে হাবিবা (বই), সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৩ তাহমিনা আক্তার চৌধুরী (হরিণ), জগদা চৌধুরী (দোয়াত কলম), মোস্তফা রাহিলা চৌধুরী (ফুটবল), সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৪ দিলুয়ারা বেগম (বই), মোছাম্মৎ দিলুয়ারা বেগম (ফুটবল), রেহেনা বেগম ফেরদৌস চৌধুরী (মাইক), সাজেদা বেগম (হরিণ), মোছাম্মৎ ফারহানা আফরীন জিনিয়া (দোয়াত কলম), সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৫ দিলোয়ারা বেগম (টেবিল ঘড়ি), রুখছানা আকতার (দোয়াত কলম), শাহিদা আকতার জাহান (হরিণ), শিকু আরা বেগম (মাইক), তসলিমা আক্তার (বই) ও সুরাইয়া খানম (ফুটবল) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাধারণ সদস্য পদে ওয়ার্ড-২ (সীতাকুন্ড) আ.ম.ম দিলসাদ (অটোরিক্সা), মো. শওকতুল আলম (হাতি), ওয়ার্ড-৩ (স›দ্বীপ) মো. নুরুন্নবী ভুট্টো (উটপাখি), মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান (হাতি), মো. রফিকুল ইসলাম (টিউবওয়েল), মিজানুর রহমান (বৈদ্যুতিক পাখা), মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন (ক্রিকেট ব্যাট), মো. আলাউদ্দীন (তালা), শাহেদ সরোয়ার শামীম (ঘুড়ি), কামরুল হাসান আলাল (অটোরিক্সা), ওয়ার্ড-৪ (ফটিকছড়ি) আখতার উদ্দীন মাহমুদ (অটোরিক্সা), মো. আমান উল্লাহ খান চৌধুরী (টিউবওয়েল), ওয়ার্ড-৫ (হাটহাজারী ও নগর আংশিক) মোহাম্মদ আবু আলম (ক্রিকেট ব্যাট), গোলাম মোস্তফা (ঘুড়ি), জাফর আহমেদ (টিউবওয়েল), মোহাম্মদ আলমগীর (তালা), মো. নুরুল আবছার (হাতি), এইচ.এম আলী আবরাহা (অটোরিক্সা), মো. মনজুর হোসেন চৌধুরী (টিফিন ক্যারিয়ার), মো. এজাহার মিয়া (বৈদ্যুতিক পাখা), মো. সেলিম উদ্দীন (উটপাখি), ওয়ার্ড-৮ (বোয়ালখালী ও নগর আংশিক) বোরহান উদ্দিন এমরান (হাতি), মোহাম্মদ ইউনুছ (তালা), ওয়ার্ড-৯ (কর্ণফুলী ও নগর আংশিক) ইসলাম আহমদ (ঘুড়ি), অধ্যাপক মো. রাশেদুল আলম (তালা), ওয়ার্ড- ১০ (পটিয়া) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন (অটোরিক্সা), দেবব্রত দাশ (তালা), ওয়ার্ড-১১ (চন্দনাইশ) মো. শেখ টিপু চৌধুরী (তালা), আবু আহমেদ চৌধুরী (হাতি), ওয়ার্ড-১৩ (বাঁশখালী) শাহদাত হোসেন চৌধুরী (হাতি), মোহাম্মদ আবদুল আজিজ (বৈদ্যুতিক পাখা), কল্যান বুয়া (ঘুড়ি), হামিদ উল্লাহ (বক), মো. মো. নুর হোছাইন (টিফিন ক্যারিয়ার), এম জিল্লুর করিম শরিফী (অটোরিক্সা), মোজাম্মেল হক সিকদার (উটপাখি), মো. নুরুল মোস্তফা সিকদার (ক্রিকেট ব্যাট), মোহাম্মদ আলমগীর কবির (টিউবওয়েল), মো. খালেকুজ্জামান (তালা), ওয়ার্ড-১৪ (সাতকানিয়া) গোলাম ফেরদৌস (হাতি), মনির আহমেদ (তালা), আবদুল আলীম (বৈদ্যুতিক পাখা), ওয়ার্ড- ১৫ (লোহাগাড়া) আনোয়ার কামাল (অটোরিক্সা), মোহাম্মদ এরফানুল করিম চৌধুরী (ঘুড়ি) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। বিনাভোটে নির্বাচিত প্রার্থীরা হলেন- সাধারণ সদস্য পদে (মিরসরাই) সাধারণ ওয়ার্ড-১ প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, ওয়ার্ড নং-৬ (রাউজান) কাজী আবদুল ওহাব, ওয়ার্ড-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আবুল কাশেম চিশতী, ওয়ার্ড-১২ (আনোয়ারা ও নগর আংশিক) এস.এম আলমগীর চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, ভোটগ্রহণ হবে ১৭ অক্টোবর। ১৫ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৭৩১ জন। পুরুষ ভোটার দুই হাজার ৯৪ জন ও মহিলা ভোটার ৬৩৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১৫টি ও ভোটকক্ষ ৩০টি। নির্বাচন শেষে জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে মোট ২১ জনের জেলা পরিষদ গঠিত হবে। এরমধ্যে চেয়ারম্যান একজন, সাধারণ সদস্য ১৫ জন ও সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত হবেন পাঁচজন।