প্রতিহিংসা নয় বরং রাজনীতি হয়ে উঠুক সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রতিযোগিতার

25

মীর মো. আদনান সাকিব

মানুষ সামাজিক জীব। এই সমাজে বসবাস করতে হলে সকলকে মিলেমিশে সুখে-দুঃখে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের নানা প্রয়োজনে গড়ে উঠে রাস্তাঘাট, সেতু, বহুতল স্থাপনাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড। যা আমি/আপনি চাইলেও সম্ভব না তবে, কেউ কেউ চেষ্টা চালিয়ে যায় মাত্র। এই কর্মকান্ডগুলোকে বৃহৎ পরিসরে রূপ দিতে কাজ করে যায় সরকার। তবে কে বা কারা সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করবে, সেটি নির্ধারন করবে সে দেশের সংবিধান। আমাদের দেশের সংবিধান অনুযায়ী জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলই আগামী ৫ বছরের জন্য সরকার গঠন করে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করে। উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতে কয়েক ধাপে ভিন্ন ভিন্ন স্তরের নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে। যাতে করে জনগণের দুর্ভোগ-কষ্ট উপরের স্তর পর্যন্ত পৌঁছানো যায়। এই নির্বাচনই যখন সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখনি আর কিছু বলার থাকে না।
প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মনমানসিকতা রাখা দরকর, তা না হলে সে জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনাও বেশী। এই যেমন সারাদেশে কয়েক ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হবে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা মিলেছে রক্তাক্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। যা মোটেই কাম্য নয়। যেখানে জনগণের উন্নয়ন কর্মকান্ড, জনগণের কথা বলার জন্য সকলের পক্ষ থেকে এক বা একাধিক প্রতিনিধি বেঁচে নিতে হবে সেখানে রক্তাক্ত কর্মকান্ড না করে ভালোবাসার মাধ্যমে সকলের মন জয় করাই শ্রেয়। কেননা, দিনশেষে আমরা যাদের সাথেই এই যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছি কাল বা পড়শু আমার প্রয়োজনে তাকেই প্রয়োজন হবে। প্রকৃতপক্ষে আমরা কেউ কাউকে বাদ দিয়ে এই সমাজ, দেশ বা রাষ্ট্রে বসবাস করতে পারবো না। একে অন্যের প্রয়োজনে পাশে থাকা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে রাজনীতি যেহেতু জনগণের জন্য সেই জায়গায় প্রতিহিংসার বশবর্তী না হয়ে সকলের সৌহার্দ্যপূর্ণ প্রতিযোগিতায় পারে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের পাথেয়।