প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক অবরোধ ছাত্রলীগের

8

চবি প্রতিনিধি

পূর্ব ঘটনার জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেট ও রেল ক্রসিং এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পথ আটকে মারধর করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টার পর থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধর করে স্থানীয়রা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া চবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয়দের মধ্যকার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি দাবি করে সড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। এসময় আন্দোলনকারীরা জানান, গত মঙ্গলবারের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ করেনি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি করলেও তার রিপোর্ট এখনও দেয়নি। জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা এখনও নেয়া হয়নি। তাই তারা এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে।
এদিকে এই অবরোধ চলাকালীন স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ছাত্রীসহ মোট ৪ জন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতরা হলেন ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী অন্জন সাহা তন্ময়, শুভ, শাহাদাত, মাইশা ও ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী ওমর।
শিক্ষার্থীদের মারধরের এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষেপে উঠে এবং একপর্যায়ে বিকেল ৪টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সিএফসি উপগ্রুপের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবরোধ করে। এসময় এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় নেতাকর্মীদের। পরবর্তীতে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করার আশ্বাস দিলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ফটক খুলে দেন।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সিএফসি উপগ্রুপের নেতা মির্জা খবির সাদাফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা করবে এবং গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করবে। স্থানীয় সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো অভিযোগ নাই। তবে আমাদের ভাই বোনদের উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের অভিযোগ। তিনি আরো বলেন, ওরা আসলে প্রত্যেকবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে পার পেয়ে যায়। এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য আমরা ফটক অবরোধ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি তাদের আশ্বাস পূরণ করতে না পারে তাহলে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম শিকদার বলেন, যারা এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদি হয়ে মামলা করবে ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।