প্রতারক চক্রের বাসায় হাজার কোটি টাকার চেকের কপি-স্ট্যাম্প

77

নগরীর একটি প্রতারক চক্রের বাসা তল্লাশি করে বিভিন্ন ব্যাংকের ১ হাজার ২ কোটি ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার ৭৩টি চেকের ফটোকপি, ৩৫ লাখ ২০ হাজার টাকার ২১টি ফেব্রিকেটেড বা স্কোরড চেক উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ সময় পাওয়া যায় ১৪টি বিভিন্ন ব্যাংকের খালি চেক, ১৪টি খালি চেকের ফটোকপি, ২১৩ পৃষ্ঠা ফেক ইনডেনচার, ৩২ পৃষ্ঠা ফাঁকা স্ট্যাম্প, ৯টি লেজার বই, ১টি ডিপোজিট বই, প্রচুর মামলার নথি ও ৫টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র।
গতকাল বুধবার নগরের পাঁচলাইশের হামজা খাঁ লেনের গাউসিয়া আবাসিক এলাকার ১১১৭ ফাতেমা মঞ্জিলের তৃতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার তিন আসামির স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে এসব আলামত জব্দ করে র‌্যাব। র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. মাহমুদুল হাসান মামুন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ফাতেমা মঞ্জিলের কাজী প্রিয়া আক্তার মুক্তার ভাড়া বাসায় অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে আসামিরা। এ সময় বি বাড়িয়ার আশুগঞ্জের আড়াইসিধা দক্ষিণপাড়ার আজিমুদ্দিন হাজি বাড়ির মো. শহিদুল ইসলাম খানের মেয়ে কাজী প্রিয়া মুক্তা (৪৪), রাজশাহীর বাগমারার রুঘুপাড়ার দক্ষিণ জামালপুরের মৃধা বাড়ির মোজাম্মেল হক মৃধার ছেলে মো. জহুরুল হক মৃধা (৪১) এবং মাদারীপুরের শিবচর থানার উত্তর বাঁশকান্দীর সেকান্দার আলীর ছেলে মো. রেজাউল করিমকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ব্যাংকের চেকের ফটোকপি, চেক ও অন্যান্য নথিপত্র জব্দ করা হয়। খবর বাংলানিউজের
র‌্যাব সূত্র জানায়, গত ১৩ অক্টোবর পাঁচলাইশের নাজিরপাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে নাজমা বেগম (৪৫) লিখিত অভিযোগ করেন মুক্তা, জহিরুল ও রেজাউলের নেশা ও পেশা হচ্ছে প্রতারণা, ধোঁকাবাজি করে মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাৎ করা। তারা এলাকার সরলমনা নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে ছোটখাট লেনদেন করে প্রথমে কম মূল্যমানের চেক হাতিয়ে নেন। পরে এসব চেক ফিরিয়ে দিয়ে বিশ্বাস জমিয়ে সইযুক্ত অলিখিত চেক গ্রহণ করেন এবং চড়া সুদে টাকা ধার দেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-৭।