প্রকল্প পরিচালককে মারধরের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে : মন্ত্রী

44

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্প পরিচালক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোশনের প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীকে মারধরের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। হামলাকারী যেই হোক আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এবং দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং অতিরিক্ত প্রকৌশলীদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেই চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনারে সাথে কথা বলেছি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে মামলা হয়েছে এবং অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলাটি পুলিশের ডিবি শাখা তদারকি করছে।’
প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন জানান, কাজ না পাওয়ায় গতকাল (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিজ কার্যালয়ে একদল ঠিকাদার কর্তৃক হামলার শিকার হনে প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানী। হামলাকারীরা প্রকল্প পরিচালককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অফিস ভাঙচুর করে।
মন্ত্রী সবাইকে ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করার আহবান জানান এবং আশ্বাস দেন, দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। যেখানেই সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত হবেন, সেখানেই রাষ্ট্র তার পক্ষে দুর্বৃত্তদের দমন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
এদিকে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। এর আগে রোববার রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগারে পাঠানো চারজনের মধ্যে তিনজন মামলার আসামি।
তারা হলেন, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সঞ্জয় ভৌমিক ওরফে কংকন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মো. ফেরদৌস ও শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ এবং ঘটনায় জড়িত মাহমুদুল্লাহ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান জানান, চসিকের কার্যালয়ে প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
এর আগে রোববার রাতে নগরীর খুলশী থানায় চসিকের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ থেকে দশজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে রোববার বেলা পৌনে ৪টার দিকে আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. গোলাম ইয়াজদানীর ৪১০ নম্বর কক্ষে এই হামলার ঘটনা ঘটে। চসিকের মামলায় অভিযুক্তরা হলেন-এস. জে ট্রেডার্সের মালিক সাহাব উদ্দিন, শাহ আমানত ট্রেডার্সের কংকন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মো. ফেরদৌস, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ, মেসার্স খান কর্পোরেশনের হাবিব উল্ল্যাহ খান, নাজিম এন্ড ব্রাদার্সের নাজিম, মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজের ফিরোজ, অজ্ঞাত ঠিকানার ফরহাদ, ইফতেখার এন্ড ট্রেডার্সের ইউসুফ, জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের মালিক আশিষ বাবু ও আলমগীর।