পৌনে ৭ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

7

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় চোরাচালান আইনে মামলার পৌনে ৭ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ৩০ মার্চ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ দিয়েছেন আদালত। এর আগে সোমবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছিল।
মামলার আসামিরা হলেন খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মালিক নূর মোহাম্মদ, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মো. মেহেদী আলম, গার্মেন্ট পণ্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মন্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) একেএম আজাদ রহমান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদের ভাই খান জাহান আলী লিমিটেডের পরিচালক মোস্তাক আহমদ খান, দুই যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।
মহানগর পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দ করার ঘটনায় চোরাচালানের মামলায় তৎকালীন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক ও তৎকালীন সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মো. মোশারফ হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তৎকালীন সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মো. মোশারফ হোসেন চট্টগ্রাম বন্দরে সিঙ্গাপুর থেকে আসা জাহাজ ও জাহাজ থেকে কোকেনের কনটেইনার নামানোর ডকুমেন্টের জব্দ তালিকার সাক্ষী ছিলেন। সেই বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন। চোরাচালান মামলায় আদালতে ৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ৩০ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। পাঁচজন আসামি চার্জ গঠন করার সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ৬ জুন কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে সূর্যমুখী তেলের চালান জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ২৭ জুন তেলের চালানের ১০৭টি ড্রামের মধ্যে ১টির নমুনায় কোকেন শনাক্ত হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দুটি ড্রামের নমুনায় (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) কোকেন শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় বন্দর থানায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন মাদক ও চোরাচালান আইনে মামলা হয়।