পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ২০ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ

30

নিজস্ব প্রতিবেদক

শতভাগ রপ্তানিমুখি তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য বকেয়া পাওনা আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধের কথা জানিয়েছে মালিকপক্ষদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। এরই মধ্যে বেতন-বোনাস ও বকেয়া পরিশোধ করতে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্যদের চিঠি পাঠিয়েছে চট্টগ্রামের শিল্প পুলিশ।
এদিকে আসন্ন ঈদে শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য বকেয়া যথাসময়ে পরিশোধের বিষয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৩ চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় বিজিএমইএ ভবন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন শিল্পাঞ্চল পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুলাইমান, বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বিকেএমইএ পরিচালক গাজী মো. শহীদুল্লাহসহ বেপজা সিইপিজেড কেইপিজেড, কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং বিভিন্ন শিল্প-কারখানার মালিক ও তাদের প্রতিনিধিসহ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় মালিকপক্ষ জানায়, শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য পাওনা আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
এসময় শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুলাইমান বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র নেতৃবৃন্দসহ মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস এবং ছুটি পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক মনোভাব প্রদর্শনের আহবান জানান।
শিল্প পুলিশ, কলকারখানা ও স্থাপনা পরিদর্শন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে আরএমজি (পোশাক), নন-আরএমজিসহ ১ হাজার ৪৮০টি কারখানায় ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫৮১ জন শ্রমিক কাজ করছেন। ১ হাজার ৪৮০টি কারখানার মধ্যে ৭৮০টি পোশাক কারখানা সিইপিজেড, কেইপিজেড, কর্ণফুলী ইপিজেড ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, শিল্প পুলিশের সাথে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সভা হয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ও অন্যান্য পাওনা আগামী ১০ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ করার কথা জানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী চলমান সংকটকালীন সময়ে যেকোনো সমস্যা মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের পোশাক কারখানার কার্যাদেশ প্রতিনিয়ত কমছে। ফলে কারখানার উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছে মালিকপক্ষ। এতে গার্মেন্ট শ্রমিকরা সংকটে পড়ছেন। এমন পরিস্থিতিতে ছোট ও মাঝারি কারখানাগুলোর পক্ষে আসন্ন ঈদের আগে শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া পূরণে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।