পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটিতে ফাউন্ডার কনফারেন্স আমাদের শিক্ষা হবে স্মার্ট: উপমন্ত্রী শামীম

11

আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম নাগরিক। সে কারণে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হলে সবার আগে শিক্ষা স্মার্ট হতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা নির্দেশনা দিয়েছেন-স্বপ্ন দেখিয়েছেন, আমরা ২০৪১ সালের স্বপ্ন দেখছি। ২০০৮ সালে তিনি বলেছিলেন-ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বেন। ২০২২ সালে এসে বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়ে গেছি।
গত ১৯ মে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ফাউন্ডার কনফারেন্স- ২০২৩’ এ সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এবং পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটির প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী উদ্ভাবনীর বাংলাদেশ তৈরি করে একটা স্মার্ট বাংলাদেশ করবেন। এর ফলে আমরা সবদিক থেকে চৌকস হবো। আমাদের শিক্ষা হবে স্মার্ট, অর্থনীতি হবে স্মার্ট, আমাদের গভর্নেন্স হবে স্মার্ট, আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য হবে স্মার্ট। এসব কিছুর মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করবো।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষা ও গবেষণা খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে আসছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ^জুড়ে অর্থনৈতিক ও উৎপাদন খাতে যে ব্যাপক রূপান্তর চলমান তা মোকাবিলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে বিশ^বিদ্যালয়টি উন্নত পাঠদানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ছাড়িয়ে বিভিন্ন মহলে আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ^স্ততা অর্জন করেছে এ বিশ^বিদ্যালয়। যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির জন্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের গঠনমূলক পরামর্শ প্রদান করেন।
পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে উন্নতমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে শিক্ষকদের গবেষণামূলক কাজ, প্রকাশনা এবং আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কিং ও প্রশিক্ষণের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরল আনোয়ার তাঁর বক্তব্যে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সম্মেলনে বিভিন্ন বিভাগের কো-অর্ডিনেটরবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি নিয়ে পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন।
প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও উন্নয়নে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ডিন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ ৭ জনকে ফাউন্ডার এওয়ার্ড ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বিভিন্ন ফোরামের ২৯ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের মেধাবী সন্তানদের পুরস্কৃত করা হয়। এরপরই মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজনে মুখর হয়ে ওঠে বিশ^বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলের জন্য নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য আলী আজম স্বপন, এহসানুল হক রিজন, ট্রেজারার প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র রায়, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মফজল আহমেদ, ব্যবসায় অধ্যয়ন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাইনুল হাসান চৌধুরী, বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ওবায়দুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. সেলিম হোসেন, প্রক্টর এস এম ওসমান গণি, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা, বিশ^বিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সভাপতি, ফোরামের কো- অর্ডিনেটর, সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি