পেশায় বাসের হেলপার, আড়ালে ইয়াবার কারবার

4

পেশায় শহর এলাকায় চলাচলকারী বাসের হেলপার। ওই পেশার আড়ালে আবার যাত্রীবেশী ক্রেতাকে বাসে তুলে চাহিদামত ইয়াবা হাতে দিয়ে নামিয়ে দেন হেলপার মো. রাসেল (২৪)। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেই ক্রেতারা তাকে ইয়াবার ফরমায়েশ দিলে তিনি ক্রেতাকে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়ে পরের স্টপেজে অপেক্ষার জন্য বলতেন। বাস সেখানে পৌঁছলে ক্রেতাকে তুলে নিতেন।
এভাবেই চলছিল বাসের হেলপার রাসেলের ইয়াবা বেচাকেনার কারবার। ডবলমুরিং থানা পুলিশ গোপন সূত্রে এমন তথ্য পেয়ে ফাঁদ পেতে রাসেলসহ দু’জনকে গত বুধবার দিবাগত রাতে চৌমুহনী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যজন হলেন, মো. আল আমীন ওরফে বাবু (২৪)। দু’জনের কাছ থেকে পুলিশ মোট চার হাজার তিনশ ইয়াবা জব্দ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দু’জনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, নগরীতে চলাচলকারী ১১ নম্বর রুটের বাস হেলপার হিসেবে কাজ করলেও রাসেল মূলত ইয়াবা কারবারি। আল আমীন তার সহযোগী। তাদের দুজনের বাড়ি ল²ীপুর জেলার রামগতিতে। নগরীর আকবরশাহ থানার নিউ মনছুরাবাদ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। হেলপারের আড়ালে যাত্রীবেশী ইয়াবা ক্রেতাদের বাসে তুলে নিয়ে চাহিদামত ইয়াবা সরবরাহ করাই তাদের মূল কারবার। ক্রেতা সেজে চৌমুহনী এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে রাসেল ও আল আমীনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
অভিযান পরিচালনাকারী ডবলমুরিং থানার এসআই শরীফ উদ্দিন জানান, রাসেলের সঙ্গে ইয়াবার ক্রেতারা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তাদেরকে বাসের অবস্থান জানিয়ে দেয়া হত। বাস নির্দিষ্ট স্টপেজে পৌঁছলে তিনি ইয়াবা ক্রেতাকে যাত্রী হিসেবে বাসে তুলে নিতেন। পরের স্টপেজে নাময়ে দেয়ার সময় যাত্রীবেশী ক্রেতার হাতে ইয়াবা পুঁটলি গুঁজে দিয়ে টাকা নিয়ে নিতেন। বুধবার ইয়াবা কেনার ফরমায়েশ দিয়ে রাসেলকে ফাঁদে ফেলা হয়। চৌমুহনী এলাকায় একটি আবাসিক হোটেল গিয়ে ইয়াবা নিতে আসার কথা বললে আল আমীন সেখানে যায়। আলাপের পর নগদ লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রাসেলকে ফোন করে হোটেলে আসতে বলেন আল আমীন। রাসেল হোটেলে পৌঁছার পর দুজনকে আটকের পর তল্লাশি করা হয়। এসময় রাসেলের পকেটে দুই হাজার পাঁচশ এবং আল আমীনের পকেট থেকে এক হাজার আটশ ইয়াবা জব্দ করা হয়।