পেট ভালো রাখতে পুঁইশাক

13

হাসিনা আকতার লিপি

বর্জ্যপদার্থের মাধ্যমে শরীরের ভেতরে থাকা রোগজীবাণু ও ক্ষতিকর যৌগ বের হয়ে যায়। কোনো কারণে সঠিকভাবে বর্জ্য নিষ্কাশন না হলে বদহজম, গ্যাস, অ্যাসিডিটিসহ নানা সমস্যা তৈরি হয়। এ সমস্যায় আক্রান্ত লোকজনের জন্য পুঁইশাক আদর্শ খাবার।
পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে দেহের বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে নির্গমনে সাহায্য করে। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ’এ’ এবং ’সি’, যা ত্বকের রোগজীবাণু দূর করে। এ ছাড়া শরীরের বৃদ্ধিকেও ত্বরান্বিত করে। পাশাপাশি চোখ ও চুল ভালো রাখে এই শাক।
প্রায় যতœ ছাড়াই তরতর করে বেড়ে ওঠে পুঁইলতা। অল্প জায়গায় খুব দ্রুত বাড়ে এই শাক। এ কারণে আজকাল ফ্ল্যাট বাড়ির টবেও অনেকে পুঁইলতা লাগান। আর যা-ই হোক, ঘরেই যদি তরতাজা শাক মেলে তবে ক্ষতি কী ? ছোট চিংড়ি দিয়ে পুঁইশাকের চচ্চড়ি কিংবা কেবল ভাজি করে খেতে অতি উপাদেয়। পালংশাকের মতো অভিজাত না হলেও স্বাদে-গুণে এটিও অতুলনীয়। তা ছাড়া সস্তা ও সহজলভ্য বলে সব শ্রেণির মানুষ পুঁইশাক খাদ্যতালিকায় রাখেন। তবে যাদের ইউরিক অ্যাসিড বেশি এবং পিত্তথলি ফেলে দেওয়া হয়েছে তাদের পুঁইশাক বেশি না খাওয়াই ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত পুঁই বা মিষ্টিকুমড়ার শাক খান, তাঁদের পাইলস, ফিস্টুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুব কম। আর আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলী ও কোলনের ক্যানসারও প্রতিরোধ করে। আসুন দেখে নেওয়া যাক, ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে কোন কোন খাদ্য উপাদান রয়েছে। ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে জলীয় অংশ রয়েছে ৯২ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ১ দশমিক ৪ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ২৭ কিলোক্যালরি, আমিষ ২ দশমিক ২ গ্রাম. শর্করা ৪ দশমিক ২ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৬৪ মিলিগ্রাম এবং ভিটামিন সি ৬৮ মিলিগ্রাম।

ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিষ্ট ও কনসালটেন্টল্যাব এইড লিমিটেড এবং পার্ক ভিউ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক লিমিটেড। চট্টগ্রাম।