পেট্রোল পাম্পে অভিযান চালাবে বিআরটিএ

22

ফিটনেসবিহীন যানবাহনকে তেল ও গ্যাস দিতে পারবে না পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো। পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোকে এ নির্দেশ কঠোরভাবে মেনে চলতে আদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আর চট্টগ্রামে এ নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করতে অভিযান চালাবেন বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিআরটিএ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে পূর্বদেশকে বলেন, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো এ নির্দেশ মেনে চলছে কি না তা নিশ্চিত করার জন্য আমি প্রতিটি পাম্পে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করবো।
মালিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু হালনাগাদকৃত ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকলেই হবে না, যানবাহনের বডি ফিটনেসও ঠিক থাকতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ ও ভাঙাচোরা যানবাহন কোনোভাবেই সড়কে নামানো যাবে না। নামালে এর দায়ভার মালিক, চালক ও হেলপার সকলকেই বহন করতে হবে। জনগণকে জিম্মি করে ভোগান্তির মধ্যে না ফেলে বরং নিজেদের ত্রুটিগুলো কিভাবে দূর করা যায়, কিভাবে নিয়ম-কানুন মেনে ব্যবসা করা যায় সে চিন্তা করুন। নিজেদের চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনুন। কিভাবে পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা যায় তা নিয়ে নিজেরা বসে ভাবুন। প্রয়োজনে সরকারের সহযোগিতা নিন। জনগণকে জিম্মি করার ধারা থেকে বেরিয়ে আসুন। ভবিষ্যতে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলার চেষ্টা করা হলে তা আর সহ্য করা হবে না।
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি সরকারি আদেশ অমান্য করে তাহলে অভিযুক্ত পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সকলে মিলে একটি সুন্দর গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওভারটেকিং নামক অসুস্থ প্রতিযোগিতা এবং ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে চালনা করা দুর্ঘটনার অন্যতম একটি কারণ। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রাস্তায় ফিটনেসবিহীন যান চলাচল এবং ওভারটেকিংয়ের মতো অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।