পেকুয়ায় ৩৫০টি সুপারী গাছ কাটলো দুর্বৃত্তরা

3

পেকুয়া প্রতিনিধি

পেকুয়ায় গভীর রাতেই খামারীর রোপিত ৩৫০টি সুপারীর চারা কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পন্ডিতপাড়ায় নুরুল আলমের বসতভিটায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই দিন গভীর রাতে পন্ডিতপাড়ায় নুরুল আলমের বসতভিটায় দুর্বৃত্তরা হানা দেয়। এ সময় নুরুল আলমের বসতভিটায় রোপিত ৩৫০টি উঠতি সুপারী গাছের চারা কেটে ফেলে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০১৭ সালের দিকে নুরুল আলম পন্ডিতপাড়ায় ১ একর জায়গার উপর বসতভিটাসহ বাড়ি তৈরি করে। নুরুল আলম উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটার মৃত মজু মিয়ার ছেলে। ওই জায়গা নিয়ে বাঁশখালী পুঁইছড়ির বাচ্চু মিয়া গং ও নুরুল আলমের নানা আমিন শরীফ গংদের মধ্যে প্রায় ৫০ বছর ধরে মামলা চলছিল। দেওয়ানী নিষ্পত্তি শেষে আমিন শরীফ গংদের অনুকুলে রায় প্রচার হয়। এরপর থেকে জায়গাটি আমিন শরীফ গংদের অনুকুলে আসে। নুরুল আলমের মা রেজিয়া বেগমের প্রাপ্ত অংশসহ নুরুল আলম তার ৫ মামা থেকে সেখানে জায়গা খরিদ করেন। ওই জায়গায় ঘরভিটাসহ বসতবাড়ি তৈরি করে।
নুরুল আলম জানান, আমি একসময় প্রবাসে ছিলাম। ঢাকায় ব্যবসাও করেছি। ছেলে-সন্তান ও এলাকার মায়া মমতায় আর কোথাও গিয়ে কিছু করার ইচ্ছা হয়নি। বেকারত্ব দূর করতে নিজ বসতভিটাটিকে খামার হিসেবে রুপান্তর করেছি। এখানে সবজি চাষ, উচ্চফলনশীল জাতের ফল উৎপাদন, মৎস্য চাষ ও পশু পালন কাজে নিয়োজিত হয়েছি। বাড়ির পশ্চিম সীমানায় ৩৫০টি সুপারী গাছ রোপণ করি। কিন্তু শুক্রবার সকালে উঠে দেখি বাগানের সবগুলো সুপারী গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। মানুষ কিভাবে গাছের প্রতি এত নিষ্ঠুর হতে পারে। আমি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি বলেছি।
স্থানীয় মুহাম্মদ বাবুল জানান, খবর পেয়ে আমি পেকুয়া থেকে এখানে সকালে এসেছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। নুরুল আলম জাতীয় শ্রমিকলীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বারবাকিয়ায় কাউন্সিলারও ছিলেন নুরুল আলম।
টইটংয়ের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, একটি পক্ষ জায়গাটি জবর দখল করতে চাইছে। তাই তারা এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে যেই করুক এমন ঘটনায় জড়িতদের বিচার হওয়া উচিত।