পেকুয়ায় বিরোধীয় জায়গায় গুঁড়িয়ে দিল দোকানঘর

12

পেকুয়া সদর ইউনিয়নের চৌমুহনীতে একজন সহকারী পুলিশ সুপারের সহায়তায় বিরোধীয় জায়গার তিনটি দোকানঘর স্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ঐদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পেকুয়া চৌমুহনীর একটি বাড়িতে দোকানঘর তিনটির মালিক নুর মোহাম্মদ এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তফিকুল আলমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নুর মোহাম্মদ বলেন, একবছর আগে মাসুমা খাতুন নামের এক নারীর কাছ থেকে ৭.৮১ শতক জায়গা কিনেন তিনি। এই জায়গায় তিনটি পাকা দোকানঘর নির্মাণ করেন।এরপর থেকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সাবেক গুলদি এলাকার মকসুদ আহমদ জায়গাটি তার মালিকানাধীন দাবি করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে তাকে হয়রানি করে আসছেন। কয়েকমাস আগে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তফিকুল আলম দু’পক্ষকে নিয়ে পেকুয়া থানায় সালিশী বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমও উপস্থিত ছিলেন। সেই দিন সহকারী পুলিশ সুপার তাদের কাগজপত্র না দেখেই তিন লাখ টাকা নিয়ে মকসুদ আহমদকে জায়গাটি ছেড়ে দিতে বলেন। এতে তিনি রাজি হননি।
নুর মোহাম্মদ বলেন, বুধবার সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ তার দোকানগুলো স্কেভেটর লাগিয়ে ভেঙে ফেলা হয়। এসময় সহকারী পুলিশ সুপার তফিকুল আলম একশত ফুট দূরত্বে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে চেয়ার নিয়ে বসে ছিলেন। তার সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা টহলে ছিলেন। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এগুতে চাইলে সহকারী পুলিশ সুপারের ব্যবহৃত পুলিশ ভ্যান ও পেকুয়া থানা পুলিশের এসআই হেফজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আরেকটি গাড়ি নিয়ে টহল দিতে থাকেন। প্রথম রোজা রেখে যখন সবাই ঘুমে তখনি এ কাজটি করেছে পুলিশসহ মকসুদ, তার মেয়ে আয়েশা, ভাড়াটিয়া সামশু ও জিয়া নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তফিকুল আলমকে কয়েকবার ফোন করা হয়। তিনি ফোন ধরেননি। তবে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, লকডাউন পর্যবেক্ষণে তিনি পেকুয়া গেছেন। দোকানঘর গুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।