পেকুয়ায় খাস জমিতেই নির্মিত হচ্ছে ভূমি ও গৃহহীনদের ঘর

28

পেকুয়া প্রতিনিধি

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদেরকে মাথাগোজার ঠাই হিসেবে সরকারের নেয়া প্রকল্পের আওতায় পেকুয়ার টইটংয়ে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত ভূমি সরকারের রেকর্ডীয় ১নং খাস খতিয়ানের আওতাধীন জমি। সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের রেকর্ডেও আছে জঙ্গল শ্রেণি হিসেবে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কবরস্থান ও পাহাড় বলে অপ-প্রচার চালানো হয়েছে।
অথচ এ ভূমিতে ঘর করার জন্য উপযোগী করতে উচু-নিচু অংশকে খনন করা হচ্ছে । সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত ভূমিতে ঘর নির্মাণ উপযোগী করতে উচু-নিচু জমিটি খননপূর্বক সমতল করা হচ্ছে। নির্মাধীন স্থানে সংবাদকর্মীদের উপস্থিতির খবরে স্থানীয়রা এসে জড়ো হন। মুজিববর্ষের ঘর নির্মাণের জন্য নির্ধারিত ভূমি টইটং ইউনিয়নের সোঁনাইছড়ি মৌজার জালিয়ার চ্যাং এলাকায়। স্থানীয় অধিবাসী কাইছার, আনছারুল ইসলাম,মিনার হোসেন ও ফজল করিম জানান, আমরা মনে করেছিলাম এ জমি বন-বিভাগের আওতাধীন। এ কারণে মাটি খননে আপত্তি জানিয়েছিলাম। আপত্তির ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ম এসে আমাদেরকে জমির মালিকানা সম্পর্কে খোলাসা করেন। এর পরপরই আমরা আমাদের আপত্তিটা উঠিয়ে নিই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মহৎ কাজকে সাধুবাদ জানিয়ে ঘর নির্মাণ কাজে যাবতীয় সহযোগিতা দিয়ে যাবো। বয়োবৃদ্ধ নজির আহমদ জানান, এ জমি এতদিন ধরে আমরা ধারণ করে আসছিলাম বনবিভাগের মনে করে। কিন্তু জানতাম না এটি ১নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত জঙ্গল শ্রেণির। আর এ ভূমির উত্তর পাশে কবরস্থান। ইউএনও সরেজমিন এসে কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষার্থে ৩০ ফুট মত জায়গা রেখে সীমানা প্রাচীর দেয়ার ও কবরস্থানে চলাচল করার জন্য রাস্তা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গত কিছুদিন ধরে কতিপয় ভূমিদস্যূরা জালিয়ার চাংয়ের জমিটি বনবিভাগের বলে অপ-প্রচার চালিয়ে আসছিল। আমার নজরে আসার পর ইউএনও পূর্বিতা চাকমা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ আল জিনাতকে নিয়ে সরেজমিন গিয়ে স্থানীয়দের কাছে বিষয়টিকে খোলাসা করে ভূমিহীনদের জন্য মুজিব বর্ষের ঘর তৈরি করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান হিসাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
আদো এ ভূমিটি বনবিভাগ বা পাহাড় শ্রেণির নয়। এটি সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের জঙ্গল শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত ভূমি। কতিপয় ভূমিদস্যূরা জমিটি জবর দখল করতে সংবাদকর্মীদেরকে ভূল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। উপজেলা ভূমি অফিস জানায়, এটি সরকারের নামে রেকর্ডীয় ১নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত জঙ্গল শ্রেণির জমি। এটি বনবিভাগের পাহাড়ী জমি নয়। সুতরাং এ বিষয়ে কেউ বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই।