পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলা

5

পেকুয়া প্রতিনিধি

পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিমের গাড়িতে হামলা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য ওসমান গণি আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উজানটিয়া ইউনিয়নের সোনালী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওসমান গণি ইউনিয়নের ঠান্ডার পাড়া এলাকার মোস্তাক আহমদের ছেলে এবং ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-১। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
উজানটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বুধবার চেয়ারম্যানের গাড়িতে করে আমরা পেকুয়া থেকে উজানটিয়ায় ফিরছিলাম। সোনালী বাজার পৌঁছলে ওই এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে নুরুল আলম ও মো. দুলালের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি দল দেশিয় অস্ত্র দা-কিরিচ নিয়ে চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলা করে। এসময় ড্রাইভার দ্রæতগতিতে গাড়ি চালিয়ে ওই জায়গা ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পর ইউপি সদস্য ওসমান গণি বাড়ি ফেরার পথে হামলাকারীরা তাকে একা পেয়ে কুপিয়ে জখম করে।’
উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল করিম বলেন, ‘সোনালী বাজার এলাকার আলম ও তার ভাই দুলাল চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। দুলাল কয়েক বছর আগে ইয়াবা নিয়ে গ্রেপ্তার হয়ে জেল খেটেছেন। সে এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার। স¤প্রতি জেল থেকে বেরিয়ে এসে আবার এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চোর সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। আমি এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বুধবার রাতে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা করে তারা।’
আহত ইউপি সদস্য ওসমান গণি বলেন, ‘আলম ও দুলালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাদের অনাচারের বিরুদ্ধে উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও আমি সবসময় প্রতিবাদ করে আসছি। মাদক ব্যবসায়ী এ দু’ভাই আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। এতে আলমের কিরিচের কোপে আমার বাম হাত কেটে গেছে।’
এ ব্যাপারে জানতে দুলালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পেকুয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. শাহীন বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয়া হয়। এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ তৎপর আছে।’
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার বলেন, ‘ভিকটিমের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’