পেঁয়াজ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ

14

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজারে এখন চলছে তুঘলকি কান্ড। আজ শুধু পেঁয়াজের দামে বাড়েনি, প্রত্যেকটি দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে। পেঁয়াজ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের বাজার নিয়ে দুর্বৃত্তপনা চালিয়ে যাচ্ছে। অতি মুনাফালোভী সিন্ডিকেটগুলোর কারসাজিতে বাজারে আরো দুর্মূল্য হয়ে উঠেছে পেঁয়াজ। এখন পঁচা পেঁয়াজ কর্ণফুলী নদী ও চাকতাই খালে ভাসছে। মজুদদাররা পেঁয়াজ গোডাউনে রেখে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা গত ৪ মাসে লুটপাট করে নিয়েছে। প্রতিটি সেক্টরকে দুর্নীতির মহাসমুদ্রে পরিণত করেছে সরকার।
তিনি গতকাল রবিবার সকালে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে নগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এসময় তিনি চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, প্রত্যেকদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে। সাধারণ মানুষের জাীবন যাত্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হলে চট্টগ্রামের প্রশাসন এই কর্মসূচি পালনে বাঁধা সৃষ্টি করেছে। বিএনপির এই মানববন্ধন কর্মসূচিকেও তারা ভয় পাচ্ছে। দেশে এখন গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি রেখে আওয়ামী লীগের নেতারা এখন লম্বা লম্বা কথা বলছেন। তারা বিএনপিকে হাত-পা বেঁধে পুকুরে সাঁতার কাটতে বলছেন। প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে যারা কারাগারে নিয়েছে তাদেরকেও একদিন বিচারের কাটগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, আশরাফ চৌধুরী, ইকবাল চৌধুরী, জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, সামশুল হক, গাজী সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, সম্পাদকবৃন্দ ফাতেমা বাদশা, এইচ এম রাশেদ খান, ইয়াকুব চৌধুরী, রাহেলা জামান, ডা. এস এম সরওয়ার আলম, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মো. সেকান্দর, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, মো. শাহজাহান, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আবু মুসা, শফিক আহমদ, আবুল খায়ের মেম্বার, আবদুল হাই, আলী আজম, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, আলী ইউসুফ, কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, রফিক সর্দার, রেজিয়া বেগম মুন্নি, শাহেদা বেগম, মো. ইলিয়াস, হাজী নুরুল হক, মনিরুজ্জামান টিটু, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, অ্যাড. আবদুল আজিজ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, নবাব খান, মো. রফিক চৌধুরী, রাসেল পারভেজ সুজন, সেকান্দর আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, হাজী মো. এমরান, হাসান ওসমান চৌধুরী, জসিম মিয়া, আবু ফয়েজ, সাব্বির আহমদ, সিরাজুল আলম মুনসি, মনজুর কাদের, হাজী মো. জাহেদ, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন নাহিদ, আসাদুর রহমান টিপু, মো. আলাউদ্দিন, রাজন খান, মো. নওশাদ, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, জসিম উদ্দিন, মো. সালাহ উদ্দিন, মো. দিদারুল আলম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি