পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ২০০ ভাগ

21

খুচরা বাজারে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের মূল্য। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। তবে, সামান্য কমেছে শীতের আগাম সবজির মূল্য। গত বছরের ১৮ অক্টোবর খুচরা বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য ছিল ২৫ টাকা। আর এই বছরের একই দিনে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। এই হিসাবে এক বছরে পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ২০০ ভাগ। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মানিকনগর বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি)ও বলছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।
গতকাল শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে ভারতীয় ও মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর ৯০ টাকা দরের দেশি পেঁয়াজ এখন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টিসিবির তৈরি পেঁয়াজের মূল্যের তুলনামূলক চিত্র
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে খুচরা বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ২০০ ভাগ। গত বছরের ১৮ অক্টোবর খুচরা বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য ছিল ২৫ টাকা। এখন সেই পেঁয়াজের মূল্য ৯৫ টাকা। টিসিবি বলছে, গত এক বছরে দেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ১১৬ ভাগ। টিসিবির হিসাবে, গত এক মাসে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ৪৬ ভাগ। এক মাসে দেশি পেঁয়াজেরও মূল্য বেড়েছে ৪৬ ভাগ।
জানা গেছে, পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে একের পর এক বৈঠক করে যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ গত ১৬ অক্টোবর সচিবালয়ে আমদানিকারকদের সঙ্গে পেঁয়াজের সরবরাহ, মজুদ ও দর নিয়ে বৈঠক করেন বাণিজ্য সচিব মো. জাফরউদ্দিন। তবে, বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। এ প্রসঙ্গে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে। পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঢাকা মহানগরীর ৩৫টি স্থানে ট্রাকে করে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে’। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
এদিকে, আগাম শীতের সবজির মূল্য সামান্য কমে এসেছে। সরবরাহ বাড়ায় অধিকাংশ সবজির মূল্য এখন ৫০ টাকার নিচে নেমেছে। তবে শিমসহ কয়েকটি পণ্য চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় করা অর্থের বড় অংশই চলে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে।
এ প্রসঙ্গে মানিকনগর এলাকার বাসিন্দা আবু বকর বলেন, ‘সীমিত আয়ের মানুষের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা, এখন অনেকটা স্বপ্নের মতো’। পেঁয়াজ ছাড়াও মাছ, মাংস ও সবজির মূল্য তার নাগালের বাইরে রয়েছে বলে জানান তিনি।