পেঁয়াজের খোসাতেও আছে অনেক গুণ

62

পেঁয়াজে খোসাটা অপ্রয়োজনীয় মনে করেই হয়তো প্রতিদিন ফেলে দিচ্ছেন। কিন্তু আজ থেকে আর ফেলবেন না। কেন জানেন? কারণ পিঁয়াজ যেমন খাবারের স্বাদ বাড়ায়, তেমনি এর খোসা চুপি চুরি শরীরের একাধিক জোটিল রোগের চিকিৎসায় কাজে আসে। পিঁয়াজের খোসার নানা গুণাগুণ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল-১. অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদেন ঠাসা: এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো পেঁয়াজের খোসা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে পানিটা ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন চুলকানি এবং অ্যালার্জি সহ ত্বকের নানাবিধ প্রদাহ সৃষ্টিকারি রোগ একেবারে সেরে যাবে। কারণ পেঁয়াজের খোসায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা অল্প সময়েই শরীরের যে কোনও জ্বালা বা প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. পোকা মাকড়দের দূরে রাখে: আপনার বাড়িতে কি মাছি, মশা এবং পোকা-মাকড়দের সংখ্যা বৃদ্ধি পয়েছে? তাহলে আজই এক গ্লাস পানিতে পরিমাণ মতো পেঁয়াজের খোসা চুবিয়ে সেই পানিটা জানলা অথবা দরজার বাইরে রেখে দিন। এমনটা করলে দেখবেন সমস্যা কমে যাবে। কারণ পেঁয়াজের গন্ধে পোকা-মাকড়রা আপনার বাড়ির ভিতরে ঢোকার সাহসই পাবে না। ৩. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে: গোসল করার পরে পেঁয়াজের খোসা ভেজানো পানি দিয়ে ভাল করে চুলটা কয়েকবার ধুয়ে নিন। তাহলেই দেখবেন চুলের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসবে। সেই সঙ্গে স্কাল্পে ঘর বেঁধে থাকা নানাবিধ রোগের প্রকোপও হ্রাস পাবে। আসলে পেঁয়াজের খোসায় এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা চুলের অন্দরে প্রবেশ করে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: পেঁয়াজের খোসা দিয়ে একটু জুস বানিয়ে নিন। তাতে অল্প করে মধু বা চিনি মেশাতে ভুলবেন না।
কারণ শুধু মাত্র পেঁয়াজের খোসা দিয়ে বানানো পানীয় বেশ খারাপ হয়। প্রসঙ্গত, প্রতিদিন নিয়ম করে শরীরচর্চা করার পাশাপাশি যদি এই জুসটি খেতে পারেন, তাহলে শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা একেবারে কমে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ একাধিক মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
সূত্র : ইন্টারনেট